চট্টগ্রামে গেল ২৪ ঘন্টায় মশাবাহি রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির রেকর্ড হয়েছে। একদিনে রেকর্ড ১১৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্তের তথ্য দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়।
বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১১৮ জনের মধ্যে ৬৪ জন বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এদের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ জন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে ১৬ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৮ জন এবং চট্টগ্রাম সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ১১ জন ভর্তি আছেন। এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে আরও ৫৪ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
এর এক সপ্তাহ আগে গত ৯ জুলাইয়ের প্রতিবেদনে একদিনে ১১১ জন আক্রান্তের তথ্য দিয়েছিল সিভিল সার্জনের কার্যালয়।
চলতি বছরের শুরু থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট ১৬৮৩ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৭৮১ জন, মহিলা ৪৮৫ জন এবং শিশু ৪১৮ জন। এ সময়ের মধ্যে মারা গেছে ২০ জন। এদের মধ্যে ৯ শিশু, এক কিশোর, ৬ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারী আছেন।
শুধুমাত্র জুলাই মাসের ১৯ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১২১৮ জন। এছাড়া জানুয়ারিতে ৭৭ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২২ জন, মার্চে ১২ জন, এপ্রিলে ১৮ জন, মে মাসে ৫৩ জন এবং জুন মাসে ২৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ২৪৩ জন এখনও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ১৪৪০ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
আক্রান্তের পাশাপাশি জুলাইয়ে রেকর্ড পরিমাণ মৃত্যুও হয়েছে। ২০ জনের মধ্যে ১১ জনই মারা গেছে গত ১৮ দিনে। জানুয়ারিতে ৩ জন এবং জুন মাসে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মোট আক্রান্ত ১৬৮৩ জনের মধ্যে মহানগরে ১২৫০ জন এবং বিভিন্ন উপজেলায় ৪৩৩ জন আছেন। সীতাকুণ্ড উপজেলায় আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি, ২১১ জন। এছাড়া হাটহাজারীতে ৩৪ জন, সাতকানিয়ায় ২৯ জন, আনোয়ারায় ২৫ জন, পটিয়ায় ২৩ জন, রাউজানে ২২ জন, মীরসরাইয়ে ২০ জন, বাঁশখালীতে ১৪ জন, কর্ণফুলীতে ১১ জন, লোহাগাড়ায় ১০ জন, বোয়ালখালীতে ৯ জন, রাঙ্গুনিয়া ও চন্দনাইশে ৭ জন, সন্দ্বীপে ৬ জন এবং ফটিকছড়িতে ৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
উল্লেখ্য : ২০২২ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪১ জন এবং ২০২১ সালে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিলো। তাছাড়া ২০২০ সালে চট্টগ্রামে ১৭ জন, ২০২১ সালে ২৭১ জন এবং ২০২২ সালে ৫ হাজার ৪৪৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল।
জেএন/পিআর