বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নেওয়া প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আগামী নির্বাচন পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় নির্বাচনের পর নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশের শরণার্থী প্রত্যাবাসন বিষয়ক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আবুল কালাম রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আবুল কালাম বলেছেন, শরণার্থীদের প্রধান দাবি অনুযায়ী প্রত্যাবাসনের জন্য নতুন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
গত অক্টোবরের শেষের দিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম দফায় গত ১৫ নভেম্বর থেকে ২ হাজার ২০০ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু রোহিঙ্গাদের ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
প্রথম ধাপের তৈরি তালিকার রোহিঙ্গারা ন্যায়বিচার, নাগরিকত্ব, নিজ গ্রামে ফেরা ও জমির মালিকানা ফিরে পাওয়ার প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত রাখাইনে ফিরবে না বলে দাবি জানায়।
রোহিঙ্গাদের যৌক্তিক এ দাবি মেনে তাদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করতে গত সপ্তাহে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আবুল কালাম।
তিনি বলেন, এসব ছাড়া কেউ রাখাইনে ফিরতে রাজি হবে বলে আমার মনে হয় না।
গত বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইনে দেশটির রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। রক্তাক্ত ওই অভিযানের মুখে প্রায় ৭ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।