বিট্রেনের হাইব্রিড এয়ার ভেহিকেলস নামের একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে হিলিয়াম চালিত বিমান। এতে নেই কোন ইঞ্জিন তাই পরিবেশ বান্ধব।
নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান জানায়, প্রচলিত বিমানের তুলনায় ৯০ শতাংশ কম কার্বন নিঃসরণ হয় এয়ারল্যান্ডার নামের বিমানটিতে। তাই এটিই হতে পারে ভবিষ্যতের উড়োযান।
ভবিষ্যতের এই উড়োজাহাজের নাম এয়ারল্যান্ডার-১০। হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে পূর্ণ এ বিমানে নেই কোনো ইঞ্জিন। হালকা কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি ডানা এবং লেজে ফটোভল্টায়িক সেল বসানো হয়েছে যা বিমানের জ্বালানির জোগান দেয়। উড়োজাহাজটির নকশা করেছে ব্রিটিশ কোম্পানি হাইব্রিড এয়ার ভেহিকেলস-এইচএভি।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক টম গ্রান্ডি বলছেন, প্রচলিত বিমানের চেয়ে এর গতি অনেক কম হলেও ৯০ শতাংশ কম কার্বন নিঃসরণ করে।
আধুনিক বিশ্বে পরিবেশ বান্ধব যানবাহনের চাহিদা বাড়ছে। মানুষ পরিবহন ব্যবস্থায় কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য জ্বালানির বিকল্প খুঁজছে। সেক্ষেত্রে এই বিমান ভবিষ্যতে জনপ্রিয়তা পাবে বলে আমরা মনে করছি।
বর্তমানে বিমানটির ব্যবহারিক প্রয়োগ নিয়ে গবেষণা চলছে। ২০২৬ সাল নাগাদ বাণিজ্যিকভাবে এর তৈরি শুরু হবে।
টম গ্রান্ডি জানান, সাধারণত বিমানের পাখায় ইঞ্জিন থাকে যার সাহায্যে সেটি বাতাসে ভাসে। মোটরের সাহায্যে বিমানকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হয়।
কিন্তু এয়ারল্যান্ডারে হিলিয়াম পূর্ণ করা হয়। এতে অভিকর্ষ বলের বিপরীতে উঠতে থাকে যানটি।
বিমানটি টানা পাঁচদিন বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। এছাড়া, সমতল যেকোনো জায়গা, পানি, বালু এমনকি বরফেও অবতরণ করতে পারে। তাই সামরিক কাজে ব্যবহারের পাশাপাশি বিলাসবহুল ভ্রমণেও ব্যবহার উপযোগী এটি।
টম গ্রান্ডির মতে, এটি ব্যবসার প্রসার ঘটাবে, অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে এবং অবশ্যই ভোক্তা তৈরি করবে। যখন এই বিমান চলাচল শুরু করবে, অবশ্যই যাত্রীরা এতে চড়ার জন্য আগ্রহী হবে।
এয়ারল্যান্ডারে হিলিয়াম পূর্ণ করার পর এর ভেতরে একটি ফুটবল মাঠ বা ছয়টি ডাবল ডেকার বাসের সমান জায়গা তৈরি হয়। কেবিনগুলোতে অনেকগুলো বিলাসবহুল কামরা বা ১০০ টি আসনও বসানো সম্ভব।
‘২০৩০ সাল নাগাদ বিমান যাত্রী দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে কাজ চলছে”২০৩০ সাল নাগাদ বিমান যাত্রী দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে কাজ চলছে’
এরই মধ্যে স্পেনের এয়ারলাইনস এয়ার নস্ট্রাম ২০ টি এয়ারল্যান্ডার কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে। এগুলো স্পেন থেকে বেলারিক দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্ত চার ঘণ্টার যাত্রায় ব্যবহার হবে।
তবে এই বিমানের টিকেটের মূল্য প্রচলিত বিমানের চেয়ে তুলনামূলক বেশি হতে পারে। সূত্র ৭১টিভি