সীতাকুণ্ডে বিদ্যুতকর্মীর লাশ নিয়ে বিদ্যুৎ কার্যালয় ঘেরাও করেছে স্থানীয়রা। মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বাড়বকুণ্ড বাজার এলাকায় বিদ্যুতের লাইনে কাজ করার সময় নাছির উদ্দিন (৫০) নামে এক বিদ্যুতকর্মী বিদ্যুতস্পর্শিত হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
ঘটনার পর লাশ নিয়ে তারা মহাসড়কে মিছিল শুরু করে। এসময় সেখানে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
নাছির উদ্দিন বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের হাসেমনগর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম আহসান মিয়া।
হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে বাড়বকুণ্ড বাজার এলাকায় ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন বন্ধ রেখে খুঁটির উপরে উঠে কাজ করছিলেন নাছির উদ্দিন। এসময় হঠাৎ লাইনে বিদ্যুৎ চলে আসে। এসময় বিদ্যুতায়িত হয়ে তিনি মারা যান। লাশ ঝুলে থাকতে দেখে অন্য বিদ্যুতকর্মীরা পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে নিহত নাছিরের লাশ খুঁটি থেকে নামিয়ে আনে। লাশ নিচে আনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা লাশ নিয়ে মহাসড়কে মিছিল করতে করতে বাড়বকুণ্ড বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যালয়ের দিকে যায়। এসময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাড়বকুণ্ড এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে তারা বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যালয় ঘেরাও করে রাখে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবিও তোলে তারা।
খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। পরে তারা এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যালয়ের দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার শ্লোগান দিয়ে কার্যালয় ঘেরাও করে রাখে।
কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. আবু আবদুল্লাহ বলেন, বিদ্যুৎ কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্তদের গাফিলতির কারণে ওই কর্মী নিহত হয়েছে বলে দাবি করছে স্থানীয়রা। লাশ নিয়ে মিছিল করার সময় মহাসড়কে যান চলাচল কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল। পরে তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলওয়ার হোসেন বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। কী কারণে এই বিদ্যুৎ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাড়বকুণ্ড বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যালয়ের প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের একজন কর্মী নিহত হয়েছে। স্থানীয় লোকজন তার লাশ নিয়ে কার্যালয় ঘেরাও করেছিল। কি কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মূল লাইনের সার্কিটব্রেকার বন্ধ ছিল। ঠিক কি কারণে ওই লাইনে বিদ্যুৎ গেল তা তদন্ত চলছে।