চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসে পৌঁছাতে শুরু করেছে নতুন শিক্ষাবর্ষের বই। বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের চাহিদার প্রায় ৯৬ শতাংশ বই এরমধ্যেই উপজেলা শিক্ষা অফিসে পৌঁছে গেছে। বাকি ৪ শতাংশ বুধবারের (১২ ডিসেম্বর) মধ্যে পোঁছে যাবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষা অফিস। নির্বাচনের কারণে এবার ১ জানুয়ারির পরিবর্তে শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে ১০ জানুয়ারি।
চট্টগ্রামে মোট চাহিদা রয়েছে ১ কোটি ৫২ লাখ ৪৮ হাজার ৮৮১টি বইয়ের। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বই সরবরাহ করা হয়েছে ১ কোটি ৪৭ লাখ ১০ হাজার ৫৪৩টি।
দাখিল ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শতভাগ বই পৌঁছালেও এখনো কারিগরি ট্রেডের একটি বইও এসে পৌঁছায়নি।
মাদ্রাসার মোট বইয়ের চাহিদা ছিল ২২ লাখ ৩২ হাজার ১১৩টি। মাধ্যমিকের (বাংলা ভার্সন) ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মোট বইয়ের চাহিদা ছিল ৮২ লাখ ৬৪ হাজার ৯৭৫টি। মাধ্যমিকের (ইংরেজি ভার্সন) ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত চাহিদা ছিল ৩৮ হাজার ৬৫০টি বইয়ের।
নবম শ্রেণিতে মোট বইয়ের চাহিদা ছিল ২৭ লাখ ১২ হাজার ২৯২টি বইয়ের। বিপরীতে বই এসেছে ২২ লাখ ১২ হাজার ২৯২টি।
ভোকেশনাল নবম শ্রেণির চাহিদার ৭৬ হাজার ৮৫০টি বইয়ের বিপরীতে এসেছে ৭১ হাজার ৮৫০টি বই। দাখিল ভোকেশনাল নবম শ্রেণির ১২০ জন শিক্ষার্থীর বইয়ের চাহিদা ছিল ১ হাজার ৬৪০টি। বিপরীতে বই এসেছে ১ হাজার ৩০২টি।
মাদরাসায় ইবতেদায়ী প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট বইয়ের চাহিদা ছিল ১৭ লাখ ৮২ হাজার ৩২১টি। কারিগরি ট্রেডে বইয়ের চাহিদা ৩৩ হাজার থাকলেও এখনো একটি বইও এসে পৌঁছায়নি।
চট্টগ্রাম জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন জয়নিউজকে জানান, আগে প্রতি বছরের ১ জানুয়ারি বই বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হতো। কিন্তু নির্বাচনের কারণে এবার ১০ জানুয়ারি প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের কারণে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। চাহিদার ৯৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ বই ইতিমধ্যে উপজেলা ও থানা শিক্ষা অফিসে পোঁছে গেছে। আর বাকি ৪ শতাংশ বুধবারের (১২ ডিসেম্বর) মধ্যে পোঁছে যাবে।