আট মাস আগে সম্পন্ন হয়েছে বিয়ের কাবিন ও আকদ। শুক্রবার (৩ মে) তাদের বিয়ের প্রীতিভোজের দিন ছিল। এজন্য বর পক্ষের ৮০০ ও কনে পক্ষের ১ হাজার মিলে ১৮০০ লোকের খাবারের আয়োজনের প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়। সকাল থেকে স্বজনরা আসতে শুরু করে। দুপুর গড়াতেই বর পক্ষের ৮০০ লোকের মধ্যে ২৫০ জনের খাবারও শেষ। দু’পক্ষের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ছেলে-মেয়েদের আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয় কমিউনিটি সেন্টারে। কনেকে নিয়ে যাওয়া হলো পার্লারে সাজাতে। অপেক্ষা শুধু বরের।
ওইদিকে বিয়ের আসরে যেতে বরও প্রস্তুত। এরই মাঝে খবর এলো বিউটি পার্লার থেকে পালিয়ে গেছে কনে। খবরটা প্রচার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্তব্ধ হয়ে গেল পুরো বিয়ের আসর।
শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাতরী টানেল সংযোগ সড়কের মমতাজ কমিউনিটি সেন্টার এ ঘটনাটি ঘটে। তবে কী কারণে মেয়েটি এমন ঘটনা ঘটাল তা কেউ জানাতে পারেনি। দুই পরিবারের কেউ এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাইছে না। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাইছে উভয় পক্ষ।
জানা গেছে, বর ও কনে পক্ষের মধ্যে বিকেলে বৈঠক হয়েছে। সেখানে তাদের মধ্যে কাবিনের টাকা ও কনে পক্ষে থেকে দেওয়া ফার্নিচার নিয়ে সমঝোতা হয়েছে।
কনে পক্ষের বাড়ি উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামে। আর বর পক্ষের বাড়ি বারশত ইউনিয়নের গুন্ধিপ গ্রামে। পরে বর ও কনে পক্ষের লোকজন সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে ঘটনাটি মীমাংসা করে।
বর ও কনে পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত আট মাস আগে তাদের বিয়ের কাবিন ও আকদ্ সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার তাদের বিয়ের প্রীতিভোজের দিন ছিল। এজন্য বর পক্ষের ৮শ ও কনে পক্ষের ১ হাজার মিলে ১৮শ লোকের খাবারের আয়োজনের প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়। কিন্তু হঠাৎ এ দুর্ঘটনায় দু’পক্ষের মাঝে হতাশা নেমে আসে। সমাজে হেয় হচ্ছেন উভয় পক্ষ। তবে কী কারণে মেয়েটি এমন ঘটনা ঘটাল তা কেউ জানাতে পারেনি।
এ বিষয়ে আনোয়ারা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহাম্মদ জানান, এই ধরনের কোনো ঘটনা শুনিনি।
জেএন/এমআর