রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় গোলাগুলিতে ম্রাঅং মারমা (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার লংগদু ইউনিয়নের কাট্টলী কিচিংছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১ জানুয়ারি) গভীর রাত থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে লংগদু ইউনিয়নের কিচিংছড়া এলাকায় একজনের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে লংগদু থানা পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহত ম্রাঅং মারমা খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার বাসিন্দা।
ঘটনাস্থল থেকে এম-৪ রাইফেল ১টি, ১২টি মোবাইল, সেনাবাহিনীর নকল ৩টি ইউনির্ফম ও এনআইডি কার্ড ২টি, ৫টি ব্যাগ ও ১০টি কম্বল এবং বিভিন্ন প্রকারের নথি সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় লোকজন নিহত ব্যক্তিকে পাহাড়ের আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মী বলে দাবি করলেও সংগঠনটির পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে।
এদিকে ৭নং লংগদু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিক্রম চাকমা বলেন, গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। আমরা স্থানীয়ভাবে ধারণা করছি নিহত ব্যক্তি ইউপিডিএফের কর্মী।
তবে তার পরিচয় সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে সে লংগদুর বাইরের এবং মারমা সম্প্রদায়ের বলে জেনেছি। মরদেহ উদ্ধার করে রাঙামাটি পাঠানো হয়েছে।
ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা বলেন, লংগদুতে নিহত ব্যক্তি আমাদের দলের কেউ নয়। ভাতৃঘাতী সংঘাতকে উসকে দিতে নিহত ব্যক্তির সঙ্গে আমাদের সংগঠনের নাম জড়ানো হচ্ছে। এটি একটি নতুন নাটক। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
লংগদু থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জেএন/পিআর