আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা দিয়েছিল তারা আনবে ২০ লাখ টাকার পণ্য। শুল্ক গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল অন্যরকম। খালাসের দিনেই তারা আটকে দেন চালানটি। চলে চালানটির কায়িক পরীক্ষা। ২০ লাখ টাকার পণ্য আনার ঘোষণা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এনেছে ৯৩ লাখ টাকার পণ্য!
ঘটনায় সম্পৃক্ত আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটির নাম মেসার্স তানসির এন্টারপ্রাইজ। ঘোষণার বাইরে পণ্য আমদানি করায় প্রতিষ্ঠানটির প্রায় কোটি টাকার পণ্যের চালান আটক করেন শুল্ক গোয়েন্দারা।
মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) চালানটির রাজস্ব আদায়ের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে প্রতিবেদন পাঠানো হয়।
এর আগে ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কায়িক পরীক্ষায় ৯৩ লাখ ৩১ হাজার ৬৫৭ টাকার চালানটি ধরা পড়ে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার পুরানা পল্টনের আমদানিকারক মেসার্স তানসির এন্টারপ্রাইজের (বিন ০০০১২৭১৫৪৩) আনা চালানের কায়িক পরীক্ষার সময় ঘোষণার চেয়ে অতিরিক্ত ২৪ হাজার ৫৬৭ কেজি বেশি পণ্য পাওয়া যায়। চালানটিতে ৩ হাজার কেজি ফ্লেভার্ড ড্রিংক আনার ঘোষণা দেওয়া হলেও আনা হয় ২৭ হাজার ৫৬৭ কেজি। চালানটির বিল অব এন্ট্রি নম্বর- ১৮৫৩৫৯৮।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল সিএন্ডএফ এজেন্ট মজুমদার ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। ঘোষণা অনুযায়ী পণ্যের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য হতো ২০ লাখ ৭ হাজার ৫৯০ টাকা। যেখানে ৫১ লাখ ৮৫ হাজার ১১ টাকা (জরিমানা ব্যতীত) শুল্ককর ফাঁকি দিতে চেয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ শুল্ককর ও ফাঁকি দেওয়া করসহ পণ্য চালানটির মোট মূল্য ৭১ লাখ ৯২ হাজার ৬০১ টাকা।
যাবতীয় শুল্ককরসহ পণ্য চালানটির সর্বমোট মূল্য দাঁড়ায় ৯৩ লাখ ৩১ হাজার ৬৫৭ টাকা।