‘পৌষ পার্বণে পিঠা খেতে বসে খুশিতে বিষম খেয়ে
আরো উল্লাস বাড়িয়াছে মনে মায়ের বকুনি খেয়ে’
– বেগম সুফিয়া কামালের ‘পল্লীস্মৃতি’ কবিতার এ দু’টি লাইন আবহমান বাংলার পার্বণ, পিঠা-পুলির উৎসবের কথা আমাদের মনে করিয়ে দেয়। আজকের যান্ত্রিক যুগে এসব আর তেমন চোখে পড়ে না। শীত এলে খেজুরের রস আর পিঠা-পুলির উৎসবে একদিন মাতোয়ারা থাকত গ্রাম জনপদ। খেজুর রস ছাড়া কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকালটা যেন ঠিক জমত না। অতিথিদের হরেক রকম পিঠা দিয়ে আপ্যায়নে তৃপ্তি পেতেন গৃহস্থ। খেজুর রস আর খেজুর গুড়ের পায়েস, ধুপি পিঠাসহ আরো নানান পিঠার প্রতি বাঙালির আগ্রহ চিরন্তন। চাহিদা থাকা সত্ত্বেও আজকের দিনে খেজুর রস প্রায় দুষ্প্রাপ্য। নগরবাসীতো খেজুর রস প্রায় চোখেই দেখেই না। আজকের প্রজন্ম অনেক পিঠা-পুলির সাথে পরিচিত নয়। এদের জন্য তাই নগরে আয়োজিত হয় ‘নাগরিক পিঠা উৎসবের’। খেজুর গাছও আজকাল তেমন চোখে পড়ে না। খেজুর গাছে উঠে রস সংগ্রহের এ দৃশ্যে বুভুক্ষু প্রাণ হয়ে ওঠে আকুল। বৃহস্পতিবার উত্তর কাট্টলি থেকে এ দৃশ্য ধারণ করেছেন জয়নিউজের আলোকচিত্রী বাচ্চু বড়ুয়া।