চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে নগর কার্যকরী কমিটির ৩৮ সদস্য।
শনিবার (১২ জানুয়ারি) রাত ৯টায় গণভবনে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ে প্রধানমন্ত্রী নগর নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানান।
শিক্ষা উপমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে নৌকার প্রাথীীকে বিজয়ী করার জন্য চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তিলে তিলে এই আওয়ামী লীগকে গড়ে তুলেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই পর্যায়ে এসেছে। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়া। আমাদের কাজ হচ্ছে জাতির পিতার স্বপ্নকে পূরণ করা। আওয়ামী লীগের পরিক্ষীত কর্মীরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবে এটি আমার প্রত্যাশা।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন জয়নিউজকে জানান, দেশের মানুষের বিপুল সমর্থন নিয়ে হ্যাট্রিক বিজয় অর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলেন তিনি। তাই প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল অভিনন্দন জানাতেই গণভবনে গিয়েছিলাম আমরা।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কথা দিয়েছিলাম, আওয়ামী লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে নগরের ৬টিসহ চট্টগ্রামের ১৬টি আসন উপহার দেবো। প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া সেই কথা রাখতে পেরেছি। এখন এ ঐক্য ধরে রেখে দলকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করতে কাজ করে যাবো।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, অভিনন্দন জানানোর সময় প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে মন খুলে কথা বলেছেন। সবার সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। নেতারাও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেয়ে উজ্বীবিত হয়েছেন। নিবেদিত হয়ে দলের জন্য কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
এসময় মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, আ্যাডভোকেট.ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সংগঠনের উপদেষ্ঠা শফর আলী, শেখ মোহাম্মদ ইসহাক, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, আইন সম্পাদক আ্যাড.ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর,বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকর্যাণ সম্পাদক মো. হোসেন, শ্রম সম্পাদক আব্দুল আহাদ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদ্রাুল আলম চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, উপ প্রচার সম্পাদক শহিদুল আলম, উপ-দপ্তর সম্পাদক জহর লাল হাজারী, নির্বাহী সদস্য মো.এয়াকুব, আবুল মনছুর,কাজী শফিউল আজিম, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, বখতিয়ার উদ্দিন খান, প্রকৌশলী বিজয় কৃষাণ, মো. জাফর আলম চৌধুরী ,সাইফু উদ্দীন খালেদ বাহার, আব্দুল লতিফ টিপু,ড.নিসার উদ্দীন মনজু , রোটারিয়ান ইলিয়াছ ও মোরশেদ আকতার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে নগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ পরিচিতি তুলে ধরেন ।