নির্বাচন আদায়ে প্রয়োজনে আবারো আন্দোলনে প্রকম্পিত হবে রাজপথ: মীর হেলাল

অনলাইন ডেস্ক

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব ছিল দেশে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন,পুলিশ-প্রশাসনের রদবদল, বিচার বিভাগ পুণরুদ্ধারসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় দ্রুত সংস্কার করে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচন দেয়া। যা ইতিমধ্যে মোটামুটি সংস্কার করা হয়েছে। এখন এ সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে গণমানুষের মনের কথা শুনা।

- Advertisement -

শেখ হাসিনার কানে গণমানুষের কথা পৌছায়নি বলেই তাকে পালিয়ে যেতে হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যারা গণমানুষের মনের কথা শুনবেনা তাদের পরিণতি হবে হাসিনার মতোই। তিনি হুশিয়ার করে বলেন, দীর্ঘবছর স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে লড়াই করেছে বিএনপি। নির্বাচন আদায়ে প্রয়োজনে রাজপথ আবারো আন্দোলনে হবে। শান্তিপূর্ণ বিশাল শোভাযাত্রা বিক্ষোভে রূপ নিতে একটি ঘোষণায় যতেষ্ট জানিয়ে তিনি দেশবাসীকে বিভ্রান্ত না করে অবিলম্বে নির্বাচন দেয়ার দাবী জানান।

- Advertisement -google news follower

এসময় তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ১৭বছর ধরে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা এবং তার দলের নেতাকর্মীরা বাঙালির সকল সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যবাহী উৎসবগুলো পালনে যেসব অপসংস্কৃতি ঢুকিয়েছে তা প্রতিরোধ করতে হবে এবং এর বিপক্ষে বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে জনসম্মুখে তুলে ধরতে হবে। তাছাড়া দক্ষিণ জেলার আওতাধীন সকল সংসদীয় আসন দেশনায়ক তারেক রহমানকে উপহার দিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

আজ (সোমবার) ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে উপলক্ষে দক্ষিণ জেলা বিএনপির বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার মীর হেলাল।

- Advertisement -islamibank

এতে সভাপতির বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়া বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দীর্ঘবছর এদেশর মানুষকে নিজের মতো করে সংস্কৃতি- ঐতিহ্য পালন ও চর্চা করতে দেয়নি। তারা সর্বক্ষেত্রে ফ্যাঁসিবাদ ব্যবস্থা কায়েম করেছে। সবকিছু আওয়ামীলীগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছে। এছাড়া স্বাগত বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন বলেছেন, দীর্ঘবছর পর ফ্যাঁসিবাদের পতন ঘটিয়ে বাংলার মানুষ আজ মুক্তির আনন্দে মেতেছে। যা শোভাযাত্রায় স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। তিনি আরো বলেন, বৈশাখি উৎসব উদযাপনে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে যে ঐক্যের সুর উঠেছে তা ধরে রাখতে হবে নির্বাচন আদায় পর্যন্ত। তিনি আরো বলেন, যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। দেশের মানুষ যেদিন তাদের মালিকানা ও ভোটের অধিকার ফিরে পাবে এবং যেদিন বৈষম্যহীন রাষ্ট্রকাঠামো গঠিত হয়ে জনগণের সকল মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে সেদিনই যুদ্ধ শেষ হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে নববর্ষকে বরণ করতে পটিয়া উপজেলার ইন্দ্রপুল/বাইপাস গোল চত্বর থেকে বিশাল আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। দীর্ঘ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শোভাযাত্রাটি পটিয়া দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় হাতি, গোড়া গাড়ি, বাঙলার ঐতিহ্য সম্বলিত রং বেরংয়ের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে চট্টগ্রাম বিএনপির দক্ষিণ জেলা, উপজেলা, পৌরসভা এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়।

উক্ত শোভাযাত্রা র‌্যালিতে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস, যুগ্ম আহবায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, সৈয়দ সাদাত আহমেদ, সাবেক বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন, জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য বদরুল খায়ের চৌধুরী, আজিজুল হক চেয়ারম্যান, এস এম মামুন মিয়া, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, মাষ্টার লোকমান, আমিনুর রহমান চৌধুরী, মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, রেজাউল করিম নেচার চেয়ারম্যান, ইসহাক চৌধুরী, হাজি ওসমান, সাইফুদ্দীন সালাম মিঠু, হামিদুল হক মন্নান চেয়ারম্যান, রাসেল ইকবাল মিয়া, শওকত আলম চৌধুরী, শহিদুল্লাহ চৌধুরী, নুরুল কবির, সিরাজুল ইসলাম সওদাগর, এস এম ছলিম উদ্দিন খোকন চৌধুরী, জসিম উদ্দিন, হাজি রফিকুল আলম, মোকতার আহমদ, রেজাউল করিম চৌধুরী রেজা, খোরশেদ আলম আইয়ুব, আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক, মাহমুদুর রহমান মাদু, বাবু খান, ইব্রাহীম খলিল চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যান, আবদুল মোনাফ চৌধুরী, আবদুল জলিল চৌধুরী, জসিম উদ্দিন মাষ্টার, অ্যাডভোকেট শওকত ওসমান, মনজুর আলম তালুকদার, মোঃ আজগর, শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, জমির উদ্দিন মানিক, রবিউল ইসলাম রবি, ডাঃ মহসিন খান তরুন, কামরুদ্দিন সবুজ, আবদুর রহিম, মোজাম্মেল হক, সালেহ জহুর, বিএনপি নেতা মাষ্টার রফিক, সরোয়ার হোসেন মাসুদ, জাহাঙ্গীর কবির, শাহিনুর রহমান শাহীন, ইফতেখার উদ্দিন ইফতু, শফিকুল ইসলাম রাহী, জাহাঙ্গীর আলম, মোজাম্মেল হক হক বেলাল, জাগির হোসেন, শেফায়েত উল্লাহ চক্ষু, সালাউদ্দিন চৌধুরী সোহেল, এস এম সুমন, মোস্তফিজুর রহমান, বাহাউদ্দিন, মোঃ শাহীন, মোঃ জাহেদ, মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল ইসলাম, মোঃ ইসমাইল, ইঞ্জিনিয়ার হারুন, দিল মোহাম্মদ মনজু, আবু আহমদ, আফছার উদ্দিন সোহেল, মতিউর রহমান রাশেল, গাজী ফোরকান, গাজী মনির, আবুল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, মনোয়ার হোসেন, মনসুর উদ্দিন, মামুন খান, ছলিম উল্লাহ চৌধুরী ডালিম, আফরোজা বেগম জলি, সারাবান তহুরা কলি, জেলা ছাত্রদল নেতা ইসমাইল বিন মনির ও তারেক রহমান।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM