বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ঢাকায় প্রথম পর্বের চারটি ম্যাচের সবকটিতেই জিতেছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। তবে সিলেটে এসে রাজশাহী কিংসের কাছে হার মানলো সাকিবের দল।
এদিন মার্শাল আইয়ুবের দারুণ ব্যাটিংয়ের পর আরাফাত সানি, মেহেদি হাসান মিরাজসহ বোলারদের দুর্দান্ত অবদানে ২০ রানে জয় পায় রাজশাহী। এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচে জয় তুলে নিল দলটি।
বুধবার (১৬ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে রাজশাহী নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান সংগ্রহ করে। জবাবে পুরো ওভার খেলতে পারলেও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান তুলতে পারে ঢাকার দলটি।
১৩৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সানি-মিরাজদের ঘূর্ণিতে বিপাকে পড়ে ঢাকা। প্রথমেই ওপেনার সুনীল নারাইনকে ব্যক্তিগত এক রানে এলবির ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার হজরতউল্লা জাজাইও। পেসার ইসুরু উদানা তাকে ব্যক্তিগত ৬ রানে বোল্ড করেন।
এরপরেই শুরু হয় সানি অসাধারণ বল করে একে একে তুলে নেন আন্দ্রে রাসেল, রনি তালুকদার ও সাকিব আল হাসানকে। শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরা কিছুটা চেষ্টা করলেও মোস্তাফিজুর রহমান, উদানা ও কামরুল ইসলাম রাব্বিদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে আর পেরে ওঠেননি।
সর্বোচ্চ ১৪ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ২১ রান করেন আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান। এছাড়া ১৭ রান আসে মোহাম্মদ নাইমের ব্যাট থেকে।
চার ওভারে এক মেডেনসহ মাত্র আট রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট তুলে নেন বাঁহাতি স্পিনার সানি। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও ওঠে তার হাতে। দুটি উইকেট নেন অধিনায়ক মিরাজ। এছাড়া একটি করে উইকেট পান। উদানা, মোস্তাফিজ ও রাব্বি।
এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে একমাত্র মার্শাল আইয়ুব ছাড়া বাকিরা রান তুলতে রীতিমতো হিমশিম খায়। আইয়ুবের ৪৫ রানের ইনিংসে ভর করেই ৬ উইকেট হারিয়ে ঢাকার সামনে ১৩৭ রানের টার্গেট দিয়েছিলো মিরাজরা।
শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের উইকেট হারায় রাজশাহী। রাসেলের বলে পোলার্ডের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১১ বলের মোকাবেলায় মাত্র ১ রান তুলতে সক্ষম হয়েছেন মিরাজ।
অধিনায়কের বিদায়ের পর এই ম্যাচেই সুযোগ পাওয়া শাহরিয়ার নাফিস ও মার্শাল আইয়ুব সাবধানী ব্যাটিং করে দলকে মোটামুটি শুরু এনে দেন। এক প্রান্তে ধীরেসুস্থে ব্যাট চালিয়ে ২৭ বলে ৩ চারে ২৫ রান করে সুনীল নারাইনের বলে বিদায় নেন নাফিস। কিন্তু আরেক প্রান্তে ঝড় তোলেন মার্শাল।৩১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪৫ রানের দারুণ এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন তিনি।
দলীয় ৭৮ রানে নারাইনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মার্শালের বিদায়ের পর ১৬ বলে ১৬ রানের ইনিংস খেলেন নেদারল্যান্ডের রায়ান টেন ডেসকাট। তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন নারাইন। জাকির হাসানের ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ২০ রানের ইনিংস।
বল হাতে ৪ ওভারে ১৯ রান খরচে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন নারাইন। ১ উইকেট করে ঝুলিতে পুরেছেন রাসেল, সাকিব ও আল ইসলাম।