এ কে খানের আগুন: দুই কারণে বড় ক্ষতি

নগরের এ কে খান মোড়ের আরএফএলের প্লাস্টিক গুদামে সূত্রপাত হওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়-ক্ষতি কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

- Advertisement -

মূলত, দুটি কারণে এখানকার ব্যবসায়ীদের এত বড় ক্ষতি পোহাতে যাচ্ছে। প্রথম কারণ, গুদামগুলোতে ছিল প্লাস্টিক পণ্য, বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ ও তুলা। ফলে আগুন সহজেই ছড়িয়ে পড়ে এবং নেভাতে ফায়ার সার্ভিসকে বেশ বেগ পেতে হয়। দ্বিতীয় কারণ, ঘটনাস্থলের পাশে বড় কোন জলাশয় না থাকায় নিজেদের নিয়ে আসা পানির উপরেই ভরসা করতে হয়েছে ফায়ার সার্ভিসকে। পরে গাড়িও বাড়াতে হয়েছে এ কারণে। এর মধ্যেই আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকে। ফলে বেড়েছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও।

- Advertisement -google news follower

প্লাস্টিক পণ্য, দাহ্য পদার্থ ও তুলা

বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে লাগা এ আগুনের সূত্রপাত হয় আরএফএলের প্লাস্টিক গুদাম থেকে। প্লাস্টিক দাহ্য পদার্থ হওয়ায় আগুন সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া পাশের গুদামেই ছিল বিভিন্ন দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ এবং তুলা। ফলে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। যার কারণে ক্ষয়-ক্ষতি বেড়েছে।

- Advertisement -islamibank

জলাশয়ের অভাব

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গুদামের পার্শ্ববর্তী স্থানে আগে চারটি বড় পুকুর ছিল। কিন্তু এখন আছে শুধু একটি। প্রভাবশালীরা পুকুরগুলো ভরাট করে ফেলেছে। সেগুলো থাকলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অনেকটা সাহায্য পেতেন। কিন্তু শুধু একটি জলাশয় অবশিষ্ট থাকায় সেখান থেকেই পানি নিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এমনকি নালার পানি দিয়েও আগুন নেভাতে চেষ্টা করেছেন তারা।

মো. সেকান্দার নামে এক স্থানীয় জানান, পুকুরগুলো থাকলে হয়তো আরো আগেই আগুন নেভানো যেত। কিন্তু শুধু একটি পুকুরের পানি থেকেই সাহায্য পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। নিরুপায় হয়ে নালা থেকেও তারা পানি নিয়েছে। এভাবে পুকুর ভরাট করতে থাকলে এ ধরনের বড় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক।

তবে এখনও প্রকৃত ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। কর্মকর্তারা বলছেন, ক্ষয়-ক্ষতি কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মো. জসিম উদ্দীন জয়নিউজকে বলেন, গুদামগুলোতে কয়েক কোটি টাকার মালামাল ছিল। আগুনে সব মালামালই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে, ক্ষতি কয়েক কোটি টাকার বেশি হতে পারে। তবে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসলেই আমরা প্রকৃত ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়ে তথ্য দিতে পারব।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে নগরের এ কে খান মোড়ের আরএফএলের প্লাস্টিকের গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন পাশের গুদামগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।

জয়নিউজ/জুলফিকার

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM