বিজ্ঞানী ও লেখক ড.আবেদ চৌধুরী ক্যান্সার প্রতিরোধক ভুট্টা উদ্ভাবন করেছেন। সাধারণ ভুট্টার সঙ্গে জিনগত পরিবর্তন করে ‘এক ধরনের রঙিন ভুট্টা’উদ্ভাবন করেন বাংলাদেশি এ জিন বিজ্ঞানী। এর আগে তিনি হাফিজা-১,জালালিয়া, তানহা ও ডুম- এই চার জাতের ধানের উদ্ভাবন করেছিলেন।
আবেদ চৌধুরী বলেন,ধান ও গমের তুলনায় ভুট্টায় পুষ্টিমান অনেক বেশি। ভুট্টায় ক্যারোটিন থাকার কারণে মূলত এর রং হলুদ হয়। তাই আমি রঙিন ভুট্টার ক্লোন উদ্ভাবন করেছি। তাৎপর্যের বিষয় হলো- এই ভুট্টা ক্যান্সার প্রতিরোধক।
নতুন উদ্ভাবিত এই ভুট্টা বছরে চারবার চাষ করা যাবে। কৃষকদের এ নতুন ভুট্টা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে প্রাথমিক পর্যায়ে কুলাউড়ার সফল কৃষকদের মাঝে বীজ বিতরণ করেছেন বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী।
আবেদ চৌধুরী একজন জিন বিজ্ঞানী ও লেখক। আধুনিক জীববিজ্ঞান নিয়ে গবেষণায় প্রথম সারির গবেষকদের অন্যতম একজন। ড. আবেদ চৌধুরী ১৯৮৩ সালে পিএইচডি গবেষণাকালে রেকডি নামের জেনেটিক রিকম্বিনেশনের একটি জিন আবিষ্কার করেন। যা নিয়ে আশির দশকে আমেরিকা ও ইউরোপে ব্যাপক গবেষণা হয়।