চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) আয়োজনে ১৯ দিনব্যাপী অমর একুশে বইমেলা উদ্বোধন করা হয়েছে ।
রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম চত্বরে বইমেলার আনুষ্ঠনিক উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নতুন প্রজন্মের হাতে মোবাইল ফোন নয়, বই তুলে দিন। তাদের স্মার্টফোনের আসক্তি থেকে ফেরাতে হবে। বই নতুন প্রজন্মকে জীবন-জগৎ সম্পর্কে জ্ঞান আহরণে, দেশ গড়তে সহায়তা করবে।
তিনি জানান, এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় কোতোয়ালী থানায় আটক করে তাকে কারাগারে রাখা হয়। কারাগারে তাঁকে মলমূত্রের মাঝে রাখা হয়। তিনি বাসায় খবর পাঠান একটি বই পাঠানোর জন্য। এ সময় তাঁর বাবা ভারতের বিখ্যাত রাজবন্দিদের জীবনী বিষয়ক একটি বই পাঠান। তিনি সারারাত সেই বইটি পড়েছিলেন। বইটি পড়তে গিয়ে তিনি এতটাই আপ্লুত হন, তিনি যে মলমূত্রের ভেতরে আছেন, তা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বইমেলার আহ্বায়ক নাজমুল হক ডিউক, ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের আহ্বায়ক শাহ আলম নিপু, বলাকা প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী জামাল উদ্দিন, চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া ও চসিক কাউন্সিলররা।
মেলার আয়োজকরা জানান, এবার ৮০ হাজার ৩০০ বর্গফুটজুড়ে একুশে বইমেলায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রকাশকদের ১১০টি স্টল থাকবে। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ মেলা। প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
তারা আরো জানান, মেলার সার্বিক নিরাপত্তায় চসিকের নিরাপত্তা কর্মীরা সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। পুরো মেলা সিসিটিভির আওতায় এবং মেলায় সার্বক্ষণিক পুলিশ থাকবে। থাকছে ফ্রি ওয়াইফাই, ই-বুক ও সেলফি কর্নারের ব্যবস্থা। এছাড়াও ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন রয়েছে।