খুনিরা কে কোথায়?

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ৩৫ বছর পর কার্যকর হয় পাঁচ খুনির মৃত্যুদণ্ড ৷ ২০১০ সালে ১২ খুনির মধ্যে পাঁচ খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। পলাতক সাত খুনির একজন মারা গেছেন ৷ বাকি ছ’জন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন দেশে ৷

- Advertisement -

পাঁচ খুনির দণ্ড কার্যকর:

- Advertisement -google news follower

২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত পাঁচ খুনিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয় ৷ এরা হলেন কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান, কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, লে. কর্নেল (অব.) মহিউদ্দিন আহমদ (ল্যান্সার), মেজর (অব.) এ কে বজলুল হুদা এবং মেজর (অব.) এ কে এম মহিউদ্দিন (আর্টিলারি)৷ এছাড়া পলাতক অবস্থায় খুনিদের একজন আবদুল আজিজ পাশা ২০০১ সালের ২ জুন জিম্বাবুয়েতে মারা গেছেন ৷

এখনও অধরা ছয় খুনি

- Advertisement -islamibank

বিভিন্ন দেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন লে. কর্নেল (বরখাস্ত) খন্দকার আবদুর রশিদ, মেজর (বরখাস্ত) শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল (অব.) এ এম রাশেদ চৌধুরী, মেজর (অব.) এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদ ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন খান ৷ গ্রেপ্তার বা প্রত্যার্পণ ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র, ক্যানাডা, পাকিস্তান, লিবিয়াসহ আফ্রিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বারবার অবস্থান বদল করেছে খুনিরা ৷

রাশেদ চৌধুরী : যুক্তরাষ্ট্রে

রাশেদ চৌধুরী এখন অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রে ৷ নানাভাবে চেষ্টা সত্ত্বেও দেশটিতে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া এই খুনিকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি হয়নি ৷ বারবার কূটনৈতিক কথা চালাচালি হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আশ্বাসও মিলেছে ৷ কিন্তু আলোচনায় কখনই গতি আসেনি ৷

নূর চৌধুরী : মৃত্যুদণ্ডই বাধা

নূর চৌধুরী অবস্থান করছেন ক্যানাডায় ৷ তিনি দেশটিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন, কিন্তু তা খারিজ করে দিয়েছে আদালত ৷ এ ব্যাপারে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে কথা বলেছেন স্বয়ং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷ কিন্তু মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া কোনো আসামিকে হস্তান্তর করা ক্যানাডার আইন অনুযায়ী বৈধ নয় ৷ সে কারণে আইনি জটিলতাতেই এখনও আটকে আছে নূর হোসেনের ভাগ্য ৷

মোসলেম উদ্দিন : যুক্তরাষ্ট্রে

বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের আরেকজন মোসলেম উদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন বলে তথ্য রয়েছে ৷ এর আগে তার ভারত ও জার্মানিতে অবস্থানের তথ্যও ছিল গোয়েন্দাদের কাছে ৷ মোসলেমও যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন ৷ তবে তা খারিজ হয়ে যাওয়ার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে থাকার আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ৷ তবে তার সঠিক অবস্থান নিশ্চিত হতে পারেনি বাংলাদেশ সরকার৷

শরিফুল হক ডালিম : পাকিস্তানে?

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে লিবিয়া, সেনেগালসহ বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করলেও তিনি স্থায়ীভাবেই পাকিস্তানে বসবাস করেন ৷ তবে বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে পাকিস্তানের কাছে জানতে চাওয়া হলেও, উত্তর মেলেনি ৷

আবদুর রশিদ : পাকিস্তানে?

খন্দকার আব্দুর রশীদকে পাকিস্তানে দেখা গেছে এমন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ বিষয়ে জানতে চেয়ে পাকিস্তান সরকারকে একটি নোট ভারবাল দেওয়া হয় গত ডিসেম্বরে। কিন্তু এ বিষযে এখনও পাকিস্তান সমরকার কোনও উত্তর দেয়ানি।

আবদুল মাজেদ :

আব্দুল মাজেদের অবস্থান সম্পর্কে সরকারের কাছে কোনও তথ্য নেই।

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM