দ্রুত ও নিরাপদে কনটেইনার লোড-আনলোডের জন্য চীন থেকে তিনটি ‘কি গ্যান্ট্রি ক্রেন’ বা ‘কিউজিসি’ নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে বিশেষায়িত জাহাজ ‘এমভি জাইং জিন চেং হাই ইয়ং’। এর মধ্য দিয়ে ১৩ বছর পর বন্দরে কিউজিসি যুক্ত হচ্ছে।
আগামী এক বছরের মধ্যে আরও ৭টি কিউজিসি যুক্ত হবে বন্দরে। সর্বশেষ বন্দরের সিসিটি ইয়ার্ডের জন্য এ ধরনের চারটি ক্রেন আনা হয়েছিল ২০০৫ সালে। ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর ছয়টি গ্যান্ট্রি ক্রেন কেনার চুক্তি সই করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৪৫ কোটি টাকায় চীনের সাংহাই জেনহুয়া হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ কম্পানি লিমিটেড থেকে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের মাধ্যমে এসব ক্রেন আমদানি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) তিনটি কিউজিসি নিয়ে জাহাজটি সিসিটি জেটিতে ভিড়েছে বলে জয়নিউজকে নিশ্চিত করেছেন বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম।
তিনি জানান, কিউজিসিগুলো অ্যাসেম্বল করতে প্রায় এক মাস সময় লাগবে। এরপর এগুলো দিয়ে এনসিটিতে অপারেশন শুরু করা হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আজিজ জয়নিউজকে বলেন, তিনটি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। এসব গ্যান্ট্রি ক্রেন কনটেইনার লোড-আনলোডে ব্যাপক গতি আনবে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালে ৫টি জেটিসহ নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০০৭ সালে কাজ শেষ হয়। এনসিটি নির্মাণে বন্দরের খরচ হয় ৪৬৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এরপর নানা জটিলতায় এনসিটি চালু করা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ ২০১৫ সালের অক্টোবরে এনসিটি চালু হয়। তবে কিউজিসি না থাকায় শুধু গিয়ার জাহাজই (ক্রেনযুক্ত) এ টার্মিনালের পাঁচটি জেটিতে কনটেইনার লোড-আনলোড করতে পারত। কিউজিসি যুক্ত হওয়ার পর এখানে গিয়ারলেস (ক্রেন ছাড়া) জাহাজেও দ্রুততম সময়ে এবং নিরাপদে কনটেইনার লোড-আনলোড করা সম্ভব হবে।