একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র নিলামে তুলেছিল বিএনপি-জামাত জোট- এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে যত বেশি টাকা দিয়েছে, তাকেই জোট থেকে নমিনেশন দেওয়া হয়েছে। যোগ্য ব্যক্তিকে নমিনেশন না দেওয়ার কারণেই নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হয়েছে।
শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আওয়ামী লীগের আয়োজনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শুরুতেই চকবাজারে নিহতদের প্রতি শোক জানানো হয়। পরে দলীয় নেতা-কর্মীদের বক্তব্য শেষে, চকবাজারে নিহতদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শহীদ দিবসের এ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫ এর পরে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা বাঙালি সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী ছিল না। বাংলা ভাষা ও শহীদদের প্রতিও তাদের কোনো শ্রদ্ধা ছিল না। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ এ দেশের সব মুক্তিসংগ্রামের সঙ্গে ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পরবর্তীতে জামাত জোট ক্ষমতায় এসে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র নিলামে তুলেছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। নির্বাচন ঠেকানোর নামে তারা যে সন্ত্রাসের পথ বেছে নেয়- সে কারণেই জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে- বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অসাংবিধানিক শক্তি ক্ষমতায় এলে, একটি মহল খুশি হয়। এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, তারা বাংলা ভাষা ও স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভাষার জন্য রক্ত দিয়ে আমরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র ভাষাভিত্তিক দেশ। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষা নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্র তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। একই সঙ্গে সারা দেশে যত ভাষা আছে তার নমুনা সংগ্রহ করে সরকার আর্কাইভ করার কাজ করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সরকার ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান করে রেখেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের এ যাত্রা কেউ বন্ধ করতে পারবে না। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটানা ১০ বছর সরকার দেশ পরিচালনা করেছে বলেই সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান।
তিনি বলেন, আজকে উন্নয়ন দৃশ্যমান, বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মর্যাদা পেয়েছে। একটি রোল মডেলে পরিণত হয়েছে দেশ।
যে স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তা পূর্ণ করতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।