বৈবাহিক জীবনের ঘনিষ্ঠতার ছবি প্রকাশ করায় খুন হয় মাঈনুদ্দিন। খুনের দায় স্বীকার করে পুলিশকে এমনই তথ্য দিয়েছেন মাঈনুদ্দিনের সাবেক স্ত্রী রোকসানা আক্তার পপি।
শনিবার (১৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)’র সদর দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংএ এমন তথ্য জানান সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম। তিনি হোটেল মালিকদেরকে হোটেলে থাকতে আসা সকল গেস্টের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানার সাথে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি সংরক্ষণ করার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, নগরের খুলশী থানার ফয়’স লেক এলাকার লেকভিউ আবাসিক হোটেল থেকে গত বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে মাঈনুদ্দিন ওরফে শাহরিয়া শুভর (৩০) গলাকাটা লাশ উদ্ধার খুলশী থানা পুলিশ। শুভ ফেনী নদীর আশপাশে ছাগলনাইয়া ও বারৈয়ারহাট এলাকায় বালুর ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি স্থানীয় রাজনীতিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং সর্বশেষ ফেনী ছাগলনাইয়া উপজেলার ৯নং শুভপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সম্পাদক পদে ছিলেন।
শুভ ও পপি ৬ বছর আগে গোপনে বিয়ে করে। পরিবারের অমতে বিয়ে করায় ৪ বছর আগে তাদের তালাক হয়ে যায়। তালাকেরপর পপি উচ্চতর পড়ালেখার জন্য চীনে পাড়ি জমান। চীনে থাকাকালে পপি মীরসরাই এলাকার অপর এক যুবকের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে পপির সাথে শাহরিয়ার শুভর বিরোধ শুরু হয়। বিরোধের এক পর্যায়ে শুভ একটি ফেইক ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তাদের ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতার কিছু আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে। এরপর থেকে মূলত পপি শুভকে হত্যার পরিকল্পনা করতে শুরু করে। দেশে এসে প্রথম সুযোগেই খুন করে শুভকে।
শুক্রবার (১৭ আগস্ট) পপিকে নগরীর ২নং গেইট এলকার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হত্যাকান্ডের ব্যাপারে পপি কোন রকম রাকঢাক না রেখেই স্বীকারোক্তি বলে জানায় পুলিশ।
জয়নিউজবিডি/ এফএম