সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে মাছ-মাংসের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি মাছের দাম ২০ থেকে ৪০ টাকা এবং মাংসের দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। অপরিবর্তিত রয়েছে সবজির দাম।
শুক্রবার (৮ মার্চ) নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজার, কাজীর দেউড়ি বাজার ও দেওয়ানবাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
কাজীর দেউড়ি বাজারে হেমসেন লেইন থেকে আসা জামাল উদ্দিন নামের এক ক্রেতা অভিযোগ করেন, কোনো কারণ ছাড়াই পণ্যের দাম বাড়ান ব্যবসায়ীরা। তাদের অজুহাত, সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে।
মাছ ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন বলেন, বাজারে মাছের তেমন একটা সরবরাহ নেই। আমাদের বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। তিনি জানান, বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ইলিশের। তাই এর দামও অন্যান্য মাছের তুলনায় বেশি।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ইলিশ ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা। এছাড়া রুই ২৬০ টাকা, পাবদা ৫৫০ টাকা, টেংরা ৫৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ টাকা, শিং ৪৩০ টাকা, বোয়াল ৪২০ টাকা, পোয়া ৪২০ টাকা, মলা ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি করলা ৬০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, লাউ ৫০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, মুলা ২৫ টাকা, নতুন আলু ১৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি আঁটি লালশাক ১০ টাকা, পালংশাক ১৫ টাকা, লাউ শাক ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে বাজারগুলোতে সব ধরনের মাংসের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০০ টাকা। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২১০ টাকা, কক মুরগি ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংস বিক্রেতা নাহিদ জানান, এ সময় একটু মাংসের দাম বেশিই থাকে। কারণ ফাল্গুন মাসে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান থাকে। তাই মাংসের দামও বাড়ে।