আর দুইদিন পর কোরবানির ঈদ। এরমধ্যেই অনেকে পছন্দের কোরবানির পশুটি কিনে ফেলেছেন। আবার কেউ শেষ মুহূর্তের বাজারে কোরবানির পশু কিনবেন। তবে কোরবানির জন্য কেনা গরু-ছাগলের জন্য খাবার যোগাড় খুবই প্রয়োজনীয়। তাই যারা কোরবানির জন্য পশুটি কেনেন, তাদের মাথায় থাকে এই পশুকে ভালো মানের খাবার যোগানোর চিন্তা। আর তাই এ সময় কোরবানির পশুর খাবার বিক্রয়ে সরব হয়ে ওঠেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। কোরবানির পশুর বিবিধ খাবার নিয়ে দোকান খুলে বসেন অনেকে।
নগরের প্রতি মোড়ে মোড়ে বসেছে কোরবানির পশুর খাবারের অস্থায়ী দোকান। বেচাকেনাও চলছে বেশ। মোমিন রোড হেমসেন লেইনের মুখে, চকবাজার প্যারেড কর্নার, কাতালগঞ্জ মোড়, মুরাদপুর মোড়, অক্সিজেন মোড়, আগ্রাবাদ মোড়, চৌমুহনী বাজার, বক্সিরহাটে বিভিন্ন ধরনের পশুর খাবার নিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া নগরের অনেক এলাকায় স্থানীয় বাজার থেকেই পশুর খাবার কিনতে দেখা যায় মানুষকে।
বক্সিরহাটের পশুর খাবার বিক্রেতা ফয়সল জয়নিউজকে জানালেন, ভুসির কেজি ৪৮ টাকা, কুড়া ২০ টাকা কেজি, মটর ভুসি ৫৫ টাকা কেজি, কাঁচা ঘাস এক আঁটি ৫০ থেকে ১০০ টাকা, শুকনো ঘাস ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া ছাগলের জন্য কাঁঠালপাতার আঁটি কিনছেন অনেকে। এলাকাভেদে এই পশুর খাবারের দামে তারতম্য দেখা গেছে।
একজন ক্রেতা জামিল জানালেন, গুরু কেনার পর টেনশন থাকে কোথা থেকে খাবার কিনবো। বাজারে একটু দাম বেশি হলেও খাবারটা মানে ভালো। পশুকে সুস্থ রাখতে ভালো খাবারই দরকার।
গরু কিনলে পরিষ্কার পানি, গমের ভুষি, সরিষায় খৈল এবং চালের গুড়া দেয়া হয়। ছাগলের ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণে ভাত, কাঁঠালের পাতা, চালের গুড়া ও গম ভাঙা দেওয়া যেতে পারে, জানালেন একজন বিক্রেতা।
জয়নিউজ/আরসি