চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মাঠে ২-০ ব্যবধানে হেরেছিল জুভেন্টাস। কোয়ার্টার ফাইনালের জন্য ফিরতি লেগে অতিমানবীয় কিছু করে দেখানোর প্রয়োজন ছিল জুভিদের।
মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) রাতে নিজেদের মাঠে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রক্ষনের বিপরীতে তেমন কিছুই করে দেখালেন দলটির তারকা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তার একক নৈপুণ্যে ফিরতি লেগে ৩-০ ব্যবধানে জয় দিয়ে টুর্নামেন্টের শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রির দল। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে শেষ আটে ওঠেছে সিরি’আ চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলতে থাকা জুভেন্টাস ২৭ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায়। বাঁ দিক থেকে ফেদেরিকো বের্নারদেস্কির ক্রস থেকে অসাধারণ এক হেডে বল জালে পাঠান পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড রোনালদো। এক গোল হজমের পর বেশ কিছু গোলের সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি ডিয়েগো সিমিওনের অ্যাটলেটিকো।
বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে নিজের ও দলের ব্যবধান বাড়ান রোনালদো। তার লাফিয়ে নেওয়া হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়েছিলেন ইয়ান ওবলাক; কিন্তু তার আগেই বল গোললাইন পেরিয়ে যায়। গোললাইন প্রযুক্তির সাহায্যে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন হয় ২-২।
ম্যাচের বাকি সময়ে জয়সূচক গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে দুদলের খেলোয়াড়রা। কিন্তু ম্যাচের শেষের দিকে একটি ফাউলের কারণে অ্যাটলেটিকোর স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। নিজেদের ডি বক্সে ফাউল করে বসেন কোররেয়া। বের্নারদেস্চিকে ধাক্কা দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে জুভেন্টাস সমর্থকদের উত্তেজনা কমিয়ে সফল স্পট কিকে হ্যাটট্রিক ও দলের জয় নিশ্চিত করেন রোনালদো।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসরে এই নিয়ে চার গোল করলেন রোনালদো। ফিলিপ্পো ইনজাগি ও আলেস্সান্দ্রো দেল পিয়েরোর পর জুভেন্টাসের তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে হ্যাটট্রিক করার কীর্তি গড়লেন রোনালদো।