অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজে লক্ষ্মীপুরের এক স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়েছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের। রায়পুরের সেই স্কুলে ঘটনা সম্পর্কে জানতে হাজির হন স্থানীয় সাংসদ। তাকে নিজের অভিযোগ জানায় ঘটনার শিকার শিক্ষার্থী। গঠন করা হয় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি। যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। এদিকে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সবার কাছে ছেলের হয়ে ক্ষমা চেয়েছেন অভিযুক্ত তাবারক হোসেন আজাদের বাবা-মা। বিস্তারিত পড়ুন আমাদের লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি আতোয়ার রহমান মনিরের প্রতিবেদনে
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর জনকল্যাণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী তাবারক হোসেন আজাদের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর তদন্ত নেমেছে রায়পুর উপজেলা প্রশাসন।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে জয়নিউজে ‘‘তাহলে তিনি ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরেছিলেন কেন?’’ শিরোনামে সংবাদ আপলোড হওয়ার পর টনক নড়ে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুল।
সাংসদ কাজী শহিদুল ইসলামকে কাছে পেয়ে তাকে কেঁদে কেঁদে যৌন হয়রানির শিকার শিক্ষার্থী তার অভিযোগ তুলে ধরে। এসময় ওই শিক্ষার্থী বলে, অভিযুক্ত শিক্ষক তাবারক আজাদ স্যারের বিরুদ্ধে ১৬ এপ্রিল আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে বিচার চেয়েছি। এ ঘটনা ও আজাদ স্যারের কুকীর্তি সবাই জানার পরও এখনো পর্যন্ত বিচার পাইনি। বিষয়টি যাতে আর কাউকে না জানাই এজন্য মায়ের টেলিফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আজাদ স্যারের ক্ষতি হলে দেখে নেওয়া হবে বলেও শাসিয়েছে কয়েকজন যুবক।
সাংসদ কাজী শহিদুল ইসলাম জয়নিউজকে জানান, বিষয়টি নিয়ে জয়নিউজে প্রকাশিত সংবাদ দেখে ও ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির একটি ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় তিনি ওই স্কুলে গেছেন।
এসময় তিনি ঘটনার শিকার শিক্ষার্থীকে সহায়তা ও ন্যায়বিচারের আশ্বাস দেন।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিল্পী রাণী রায়, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম সাইফুল হক, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিল্পী রাণী রায় জয়নিউজকে জানান, যৌন হয়রানির ঘটনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ জন্য এ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী তাবারক হোসেন আজাদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ তদন্তে রায়পুর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকতাকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী জয়নিউজকে বলেন, অফিস সহকারী তাবারক হোসেন আজাদের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ সত্যতা পাওয়ার পর প্রশাসনের নির্দেশে তদন্ত চলছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগের বিষয়ে তাবারক হোসেন আজাদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।