লোহাগাড়ায় কোচিং সেন্টারের মালিকের বিরুদ্ধে তার এক ছাত্রীকে ঘরে একা পেয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে কোচিং সেন্টারটি বন্ধ করে পালিয়ে গেছেন অভিযুক্ত মো. সাইফুল ইসলাম (২৭)। দীর্ঘ এক সপ্তাহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৯ এপ্রিল নিজ বাড়িতে ফেরে ওই ছাত্রী।
জানা যায়, গত ১২ এপ্রিল দুপুরে আমিরাবাদ ইউনিয়নের উত্তর আমিরাবাদ মহুরী পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) কো-অর্ডিনেটর ডা. সৈয়দা মাফরুহা নিগার লোহাগাড়া থানায় এজাহার প্রেরণ করেছেন। এর প্রেক্ষিতে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে গত ১৫ এপ্রিল লোহাগাড়া থানায় মামলা দায়ের (মামলা নং-১৭) করেন।
লোহাগাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. জহির উদ্দিন অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামকে আসামি করে ধর্ষণ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে ছাত্রীর মা রাজিয়া বেগম জয়নিউজকে জানান, উত্তর আমিরাবাদ এলাকায় ধর্ষক সাইফুল ইসলাম সৃজনশীল নামে একটি কোচিং সেন্টার চালু করে। সাইফুলের অনুরোধে আমার মেয়ে সেখানে ভর্তি হয়।
ছাত্রীর মা আরো বলেন, ঘটনার দিন আমি পারিবারিক কাজে বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যাই। সকালে সাইফুল আমার ঘরে এসে আমার মেয়েকে একা পেয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। মেয়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে ধর্ষক পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লোহাগাড়া থানার উপপরিদর্শক বিকাশ রুদ্র জয়নিউজকে বলেন, আসামিকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে। অভিযুক্ত সাইফুল যাতে বিদেশ পালাতে না পারে সেজন্য বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরসমূহে বিশেষ বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে।