সপ্তাহজুড়ে আলোচনা, আবহাওয়া অফিসের সতর্কতা। সেই অনুযায়ী আগাম প্রস্তুতি। কিন্তু তাতেও ঝড়ের তাণ্ডবলীলা থেকে রেহাই পেল না পুরী, ভুবনেশ্বরসহ উড়িষ্যার উপকূল বরাবরের গ্রাম শহর। ঊড়িষ্যার পুরী লণ্ডভণ্ড করে ধ্বংসলীলায় মেতেছে মেদিনীপুরে। মাঝরাতে কলকাতা হয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকবে ফণী। খবর পাওয়া গেছে পুরীতে ফণীর আঘাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন জানাচ্ছে, গাছপালা উপড়ে, ভেঙে, বাড়িঘর তছনছ করে উদ্দাম গতিতে ছুটে চলেছে ফণী। এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অনেক জায়গায় রেললাইন উপড়ে গেছে। রাস্তার উপর ভেঙে পড়েছে টাওয়ার, বিদ্যুতের খুঁটি।
এদিকে ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর থেকে কাল সকাল থেকেই বিমান ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে বন্ধ হওয়ার কথা থাকলেও সেটা এগিয়ে করা হয়েছে বিকেল তিনটে। উড়িষ্যা পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরেও ফণীর প্রভাব শুরু হয়েছে। দীঘা, মন্দারমণিসহ উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। সেই সঙ্গে চলছে ঝড়ো হাওয়া।
কলকাতা আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছিল, সন্ধ্যার পর থেকেই উড়িষ্যা লাগোয়া এ রাজ্যের জেলাগুলোতে ঝড় শুরু হবে। সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মেদিনীপুরের দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়বৃষ্টি হতে শুরু হয়েছে। দুই মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও করছেন আবহাওয়াবিদরা। এরপর মাঝরাতে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়াও প্রভাব পড়বে ফণীর।
এদিকে ঢাকায় আবহাওয়া দপ্তর বলেছে, রাতে বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরাসহ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। উড়িষ্যা থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় কিছুটা দুর্বল হতে পারে। কিন্তু কতটা শক্তি হারাতে পারে, তা এখনই তারা ধারণা করতে পারছেন না। ঘূর্ণিঝড় ফণী সারারাত খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরিশাল অঞ্চল, রাজশাহী, ফরিদপুর এবং ঢাকা হয়ে ভারতের মেঘালয়ের দিকে যেতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর বলছে।