টাইগারপাসের পাহাড়ি এলাকা বাদ দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন সেভ টাইগারপাস মুভমেন্ট নেতৃবৃন্দ।
একই দাবিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষকেও স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সংগঠনের আহ্বায়ক বিপ্লব পার্থ ও সদস্য সচিব আদিল আহমেদ কবির এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
প্রথমে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এরপর মেয়রের কার্যালয়ে নগরপিতা আ জ ম নাছির উদ্দীনকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এসময় মেয়র এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
পরে একই দাবিতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষকেও স্মারকলিপি দেয় সংগঠনটি। চউক চেয়ারম্যান বিষয়টি তদারকি করবেন বলে জানান।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, চট্টগ্রামের অপরূপ সৌন্দর্য এবং সবুজ প্রাকৃতিক মনোরম পাহাড়িভূমির নাম টাইগারপাস। চট্টগ্রামে অবস্থিত পাহাড় এবং বৃক্ষবেষ্টিত চিরহরিৎ এই এলাকাটি দেখে মুগ্ধ হন না এমন মানুষ বিরল। এই সড়কের মোড়ে বাংলাদেশের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ভাস্কর্য রয়েছে। এছাড়া রাস্তার একপাশে রয়েছে কৃত্রিম ঝর্ণা। পাহাড়টির প্রাকৃতিক আবেদন এককথায় অসাধারণ।
স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, চট্টগ্রাম হচ্ছে পাহাড়, নদী ও সাগরের সংমিশ্রণে তৈরি। এই তিনটি উপাদানের একটিও যদি নষ্ট হয় তবে চট্টগ্রাম তার মৌলিকতা হারাবে। আমাদের শঙ্কা, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করতে গিয়ে এই পাহাড়ের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট হবে। ব্যস্ত কোলাহলময় শহরে নির্মল বিনোদনের অবকাশ কাটানোর এই টাইগারপাসকে বাদ দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হলে তা বেশি পরিবেশসম্মত হবে বলে সচেতন মহল মনে করে। যদি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে টাইগারপাসের পর থেকে শুরু হয় তাহলে শহরের মনোরম সৌন্দর্য অক্ষুন্ন থাকবে।
নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপিতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, আপনি বিভিন্ন সময় বলেছেন, পরিবেশের ক্ষতি করে কোন উন্নয়ন করা হবে না। কিন্তু এ প্রকল্প টাইগারপাসের উপর দিয়ে গেলে প্রকৃতির চরম ক্ষতি হবে। এজন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে টাইগারপাস মোড় থেকে করলে প্রকৃতি রক্ষার পাশাপাশি সেটি বেশি ব্যবহার উপযোগী হবে।