দেশ-বিদেশের ২৮টি ব্র্যান্ডের পণ্য তৈরি হচ্ছে এখন হাটহাজারীতে। সেখানে তৈরি হয় বিদেশি ব্র্যান্ডের ছয়টি মসলা, দেশিয় ব্র্যান্ডের পাঁচ প্রকার চা, চার প্রকার ঘি, তিন প্রকার সয়াবিন ও সরিষার তেল, হালিম, পায়েস, ড্রিংকস, ঝাল মুড়ি, দাঁতের মাজনসহ আরও অনেককিছু। তবে একটিও আসল ব্র্যান্ডের জিনিস নয়। আবার প্যাকেট দেখেও বোঝার উপায় নেই পণ্যগুলো দেশি নাকি বিদেশি।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) হাটহাজারী উপজেলার ধলই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বালুর টাল এলাকায় এমনই একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমীন।
এ সময় ইউএনও ও তার সঙ্গে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ১২০ বর্গফুট আয়তনের একটি কক্ষে ২৮টিরও বেশি ভেজাল পণ্যের ওই কারখানা থেকে প্রায় এক টন ভেজাল, নকল ও নিম্নমানের চা, প্যাকেট, স্টিকার, কেমিকেল এবং মসলা জব্দ করে।
মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক হরেক রকমের নানান ক্যামিকেল দিয়ে বানানো হচ্ছিল ট্যাংয়ের আদলে ড্রিংক, বিভিন্ন আইটেমের ঘি। পুরনো নিম্নমানের চা এবং মসলাই মূলত প্যাকেট জাত করা হচ্ছিল নানান ব্র্যান্ডের প্যাকেটে। মসলার বস্তা ইঁদুরে কেটে গর্ত করে ফেলেছিল সেগুলো বিদেশি ব্র্যান্ডের প্যাকেটে ভরা হয়েছিল বলে জানান ইউএনও রুহুল আমীন।
তিনি আরও জানান, ফিরোজ নামে এক ব্যাক্তির ছেলে আব্দুল এই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। তার বাড়ি অন্য ইউনিয়নে। অভিযান চলাকালে কারখানায় কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে জব্দকৃত নিম্নমানের মালামাল ও কেমিকেল ধ্বংস করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।