জেল গেটে ৮ জন মিলে পরিকল্পনা করেছিল মফিজুর রহমানকে হত্যার। এজন্য ছোরা, কিরিচ ও চাইনিজ কুড়াল নিয়ে মফিজের বাসায় হামলা করে তারা। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে মফিজের পরিবর্তে খুন হয়ে যায় প্রতিবেশী রাজু আহম্মেদ।
নগরের ডবলমুরিং থানার হাজীপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (১৪ মে)। ঘটনার দুইদিনের মধ্যে সব আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম।
তিনি বলেন, আসামি ছাগির হোসেন গত ২৭ এপ্রিল ইয়াবা ও অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়। ছাগির হাজীপাড়া এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করত এবং মাদকসেবী কিশোর গ্যাংয়ের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করত। ছাগির একই এলাকার মফিজের মাধ্যমে ইয়াবা বিক্রি করত। তবে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তথ্যদাতা হিসেবে মফিজকে সন্দেহ করে ছাগির।
গ্রেপ্তার হওয়ার ৪-৫ দিন পর ছাগির আসামি শিমুল, শুক্কুর, তানভির হোসেন সিফাত ও রাকিবকে জেল গেটে ডেকে নেয়। তারা মফিজকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে। ঘটনার আগেরদিন অর্থাৎ ১৩ মে পুনরায় জেল গেটে ছাগিরের সঙ্গে তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার শেলী (৩০) সহ অন্যরা দেখা করে। ১৪ মে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শিমুল, শুক্কুর, সাকিব, সিফাত, সুজন মফিজকে হত্যার উদ্দেশ্যে ফজরের নামাজের পর ধারালো অস্ত্র নিয়ে আসে। অন্য আসামি নূর নবী ও রুবেল বাইরে অবস্থান করে। তবে হত্যাকারীরা ভুলে পাশের বাড়ির রাজুর ঘরে প্রবেশ করে। তারা মফিজ মনে করে রাজুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে জখম করে। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজুর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হল শিমুল দাশ (২০), তানভির হোসেন (১৮), মো. সুজন (১৮), মো. রাকিব হোসেন (১৮), মো. নূর নবী (১৮), মেহেদী হাসান রুবেল (১৮), ওসমান হায়দার কিরন (১৮) ও সেলিনা আক্তার শেলী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডবলমুরিং জোন) মো. আশিকুর রহমান, ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ, ওসি (তদন্ত) মো. জহির হোসেন প্রমুখ।
জয়নিউজ/রুবেল/আরসি