সাবেক বান্ধবী রোচিও ওলিভার করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা ম্যারাডোনা।
অলিভার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে। তবে অতীত সম্পর্কের মাশুল দিচ্ছেন ম্যারাডোনা। সাবেক বান্ধবীর করা মামলায় বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। যদিও তাকে কারাগারে নেওয়া হয়নি।
৫৮ বছর বয়সী ম্যারাডোনা ও অলিভার বয়সের ব্যবধান ৩০। ২০১২ সালে প্রথম দেখা হয়েছিল দুজনের। সাবেক ফুটবলার বলে অলিভার সঙ্গে ম্যারোডোনার জমেছিলও ভালো। বান্ধবীকে বুয়েনেস এইরেসের বেলা ভিস্তায় একটি বাড়িও কিনে দিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। কিন্তু অলিভা গত ডিসেম্বরে শুধু ছয় বছরের সম্পর্কেই দাঁড়ি টানেননি, ম্যারাডোনাকে বের করে দিয়েছিলেন তার কিনে দেওয়া বাড়ি থেকেই!
আর্জেন্টিনার এল নুয়েভ চ্যানেলের তোদাস লাস তার্দেস অনুষ্ঠানে কিছুদিন আগে এমন খবরই শুনিয়েছিলেন সাংবাদিক লিও পেকোরারো। সাংবাদিকের দাবি, ম্যারাডোনা অলিভাকে বেলা ভিস্তায় যে বাড়িটি উপহার দিয়েছিলেন, সেখান থেকে তিনিই গলাধাক্কা খেয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত নাকি অলিভার দেওয়া এক সাক্ষাৎকার। এই সাবেক খেলোয়াড় ইএসপিএন রেদেস-এ কথাবার্তার একপর্যায়ে নিজেকে ‘সিঙ্গেল’ দাবি করেছিলেন। পেকোরারোর দাবি, এতে নাকি ক্ষুব্ধ হন ম্যারাডোনা। ঝগড়া-ঝাঁটির এক পর্যায়ে ম্যারাডোনাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
তাদের বিচ্ছেদের পর অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৯ মিলিয়ন ডলার বা ৭৬ কোটি টাকার মামলা করেন অলিভা। সে মামলার কারণেই মেক্সিকো থেকে ফেরার পথে গ্রেপ্তার করা হয় ম্যারাডোনাকে। স্যান মিগুয়েলের পারিবারিক আদালতে ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে এ মামলা লড়বেন অলিভা।
তবে গ্রেপ্তারের পর তাকে আটকে রাখেনি পুলিশ। কর্তৃপক্ষ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। হাতে একটা নোটিশও ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৩ জুন এ মামলা নিয়ে শুনানিতে আসতে হবে ফুটবল-কিংবদন্তিকে।