যোগব্যায়াম মানুষের ভেতরের শক্তিকে সুষমভাবে বিকশিত করে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
শনিবার (২২ জুন) সকালে ৫ম আন্তর্জাতিক ইয়োগা দিবস-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। নগরের রাইফেল ক্লাবে ভারতীয় দূতাবাস-চট্টগ্রামের উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়।
মেয়র বলেন, ইয়োগার ধারণা ও এর চর্চা কয়েক হাজার বছর পূর্বে আমাদের এ উপমহাদেশে শুরু হয়েছিল। শুরুর দিকে এ চর্চা শুধুমাত্র ধর্মযাজক, সাধু ও প্রাজ্ঞ ব্যক্তিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। পরবর্তীতে বিজ্ঞ ইয়োগিস্টরা তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে এবং বিজ্ঞানসম্মতভাবে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হিসেবে এটিকে উপস্থাপন করেন। ইয়োগা এখন সাধারণ মানুষের মধ্যে চলে এসেছে এবং এর চর্চা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বৈশ্বিকভাবে সবাই কিছুটা অস্থির সময় অতিক্রান্ত করছে উল্লেখ করে সিটি মেয়র বলেন, প্রতিনিয়ত পথ চলতে গিযে আমাদেরকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। প্রযুক্তির প্রসারের কারণে আমাদের সন্তানেরা খেলাধুলা ও শারীরিক পরিশ্রম পরিহার করে বেশিরভাগ সময় ঘরে বসে ইন্টারনেটে সময় কাটাচ্ছে। ফলে আমরা যেমন অস্থিরতার মধ্যে সময় কাটাচ্ছি, ঠিক একই সময়ে আমাদের সন্তানরাও শারীরিক সমস্যায় ভুগছে। এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে ইয়োগার বিকল্প নেই। ইয়োগার বিকাশে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। শরীর-মন ভালো রাখতে ইয়োগার বিকল্প নেই।
মেয়র বলেন, ইয়োগার এ সর্বজনীনতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে জাতিসংঘে প্রস্তাব উত্থাপিত হলে ১৭৫টি দেশের সমর্থনে তা গৃহীত হয়। ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক ইয়োগা দিবস ঘোষণা করা হয়। ২০১৫ সাল থেকে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। এবার পঞ্চম আয়োজন। ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন চট্টগ্রামে এ উপলক্ষে চমৎকার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
ইয়োগা চর্চা ও অন্যকে এর চর্চায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান মেয়র।
অনুষ্ঠানে ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, ‘ইয়োগা কোনো বিশেষ ধর্ম কিংবা গোষ্ঠীর নয়। এটি পুরো মানবজাতির জন্য কল্যাণকর। পৃথিবীতে স্বীকৃত হিসেবে ইয়োগা মানুষের শরীর-মনকে সুস্থ রাখে। তাই ইয়োগার বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতীয় দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি শুভাশীষ সিনহা। যোগ সেশন পরিচালনা করেন যোগ প্রশিক্ষক মাম্পী দে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়।