ক্রিকেটপ্রেমীদের বক্তব্য, আর যাই হোক আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারা যাবে না। বাংলাদেশ বিগত বছরগুলোয় যে ধারাবাহিকতা নিয়ে খেলছে তাতে জয়টা তাদের প্রাপ্য। তার উপর সেমিফাইনালে যেতে সমীকরণ হলো হারা যাবে না বাকি তিন ম্যাচ।
এরকম এক কঠিন সমীকরণ মাথায় নিয়ে সোমবার (২৪ জুন) সাউদাম্পটনের রোজ বোলে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় মাঠে নামবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের এই ম্যাচটি হয়ে উঠেছে ‘ডু অর ডাই কনটেস্ট’।
তবে সমর্থকদের শংকা, সাউদাম্পটন ভারতের ব্যাটসম্যানেরা আফগান স্পিনের সামনে যেভাবে কঠিন সময় পার করেছেন, তাতে সেই পুরনো আফগান ভীতি না আবার দলে জেঁকে বসে!
তবে টাইগার গুরু স্টিভ রোডস এ ম্যাচকে ঘিরে বাংলাদেশ ক্যাম্পে খুব বেশি চাপ আছে বলে মনে করছেন না। বরং আর দশটি ম্যাচের মতোই তিনি এই ম্যাচটিকে দেখতে চাইছেন। আর এর পেছনে তার যুক্তি হলো, সেমির সীমকরণ মাথায় রাখলে দিক হারাতে পারে শিষ্যরা।
রোববার (২৩ জুন) রোজ বোলের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে স্টিভ রোডস বলেন, আপনি যদি ম্যাচটিকে বাঁচা-মরার বলেন, তাহলে এটা দলের ওপর চাপ তৈরি করবে। আমি চাইছি না দলের কেউ এমন চাপ নিয়ে মাঠে নামুক। যেহেতু তারা ভালো করেই জানে ম্যাচটি তাদের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ। আর আমার দায়িত্ব হলো ওদের ম্যাচের প্রতি মনোযোগী করে তোলা। স্মার্ট খেলা উপহার দেওয়া। সেটা করতে পারলেই আমাদের ম্যাচটি জেতার সুযোগ থাকবে। আমি চাইব ওদের ওপর থেকে চাপ সরিয়ে নিতে।
বিশ্বকাপের চলতি আসরের শুরু থেকে প্রত্যাশিত ছন্দে দেখা যায়নি স্পিন বিষে ভরা আফগানদের। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগ পর্যন্ত রশিদ খান, মুজিব উর রহমান ও মোহাম্মদ নবীর মতো ঘূর্ণি যাদু চালানো বোলার ছিলেন নিজেদের ছায়া হয়েই। কিন্তু শনিবার রোজ বোলের মন্থর উইকেটে কোহলিদের বিপক্ষে হঠাৎ করেই বদলে যায় দলটি। শক্তিশালী ভারতের সঙ্গে বুক চিতিয়ে লড়েছে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত। মন্থর উইকেটের সুযোগ শতভাগ কাজে লাগিয়ে টিম ইন্ডিয়াকে বিপাকে ফেলে দিয়েছিল তারা।
বাংলাদেশের বিপক্ষেও একই উইকেটে খেলবে কাবুলিওয়ালার দেশের ক্রিকেট যোদ্ধারা। কাজেই উইকেট ও কন্ডিশনের সুবিধা গুলবাদিন নাইবরা রোডস শিষ্যদের চাইতে কিছুটা হলেও বেশি পাবেন। টাইগার কোচও সে বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেননি। কিন্তু তাতে আহামরি কিছুর পূর্বাভাস তার কণ্ঠে মিলল না।
রোডস যোগ করেন, আমার ধারণা আফগানরা একটু হলেও উইকেটের সুবিধা পাবে। কারণ তারা এই উইকেটকে ভালোভাবে জেনেছে এবং চিনেছে।