সন্দ্বীপের ১০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটির অবস্থা বর্তমানে অত্যন্ত নাজুক। সাবেক পুরাতন সন্দ্বীপ টাউনের ঐতিহ্যবাহী এ হাসপাতালটি বর্তমানে দ্বিতীয়বারের মতো স্থানান্তরিত হয়ে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে নামসর্বস্ব হাসপাতাল হিসেবে অবস্থান করছে।
হাসপাতালটি ‘১০ শয্যাবিশিষ্ট’ নামে থাকলেও, বিগত পাঁচ বছর ধরে হাসপাতালে একটি বেডও নেই, নেই কোনো প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বা জনবল। এখানে পাওয়া যায় না ওষুধ।
১২ বছর আগে হাসপাতালটি রক্ষার দাবিতে ২৫০ জনের স্বাক্ষর নিয়ে সন্দ্বীপ আদালতে মামলা করেন মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুস প্রকাশ ইউনুস কেরানি। এলাকাবাসী জানায়, ৫ বছর আগে হাসপাতালের সকল বেড উঠিয়ে নেন সন্দ্বীপ থানা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলুল করিম।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই হাসপাতালে কোনো ওষুধ থাকে না। সেবাও পাওয়া যায় না। বছরখানেক ধরে প্রতিদিন শুধু ২ ঘণ্টা সময় দিয়ে এখানে রোগী দেখতেন ডা. মহব্বত। বর্তমানে ডা. মো. শাহজাহান ২ ঘণ্টা রোগী দেখছেন। অথচ সকাল ১০ টা থেকে রোগীরা এসে অপেক্ষা করে।
২০১৭ সালে সন্দ্বীপ থানা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলুল করিম তিন বছর পূর্বের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক অডিট রিপোর্টের প্রেক্ষিতে হাসপাতালটিতে রোগী না থাকার কারণে আউটডোর রেখে ইনডোরের বেড বাতিল ঘোষণা করেন। স্থানীয়রা এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে পুরো অডিটের ব্যাপারটা বানোয়াট বলে জানায়। ইচ্ছাকৃতভাবে এই হাসপাতালের সকল সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও তাদের অভিযোগ।
সন্দ্বীপের সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে শীঘ্রই হাসপাতালটিকে একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে রূপান্তরের আশ্বাস দেন। কিন্তু দুই বছর অতিক্রান্ত হলেও তার কোনো বাস্তবায়ন নেই। তাই এলাকার সাধারণ মানুষ বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে নিঃস্বই হচ্ছে।
এ অবস্থায় এলাকাবাসী সন্দ্বীপের সফল সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতার প্রতি তাঁর ঘোষণা অনুযায়ী হাসপাতালটিকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিণত করার দাবি জানিয়েছে।
জয়নিউজ/আরসি