গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার তৃতীয় বছর সোমবার (১ জুলাই)। এ হামলা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ও নৃশংস জঙ্গি হামলা ছিল।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় বন্দুকধারী জঙ্গিরা। হামলায় প্রাণ হারায় ১৮ বিদেশিসহ ২২ জন। নিহতদের মধ্যে জাপান, আর্জেন্টিনা, ইতালি ও ভারতের নাগরিক ছিলেন। সেই বিভীষিকাময় রাতের কথা আজও ভুলতে পারেননি অনেকে।
হলি আর্টিজানের হামলার মতো ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেলক্ষ্যে পুলিশ ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার স্থলে তৈরি বেদিতে সোমবার সকাল সোয়া ১০টায় পুষ্পস্তক অর্পণ ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মনিরুল বলেন, এই হামলার সঙ্গে নব্য জেএমবির যারা জড়িত ছিল, তারা সবাই নিহত হয়েছে। আমরা আশা করছি, দ্রুত এ হামলার বিচারকাজ শেষ হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে নিহতদের পরিবার তাদের অপূরণীয় ক্ষতির ক্ষেত্রে একটু হলেও মানসিক সান্ত্বনা পাবেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, নাগরিক তথ্য সংগ্রহ, সরাসরি অভিযান, সচেতনতামূলক কর্মসূচিসহ ডিএমপির নানা উদ্যোগ রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশকে জঙ্গিমুক্ত করা যাবে।
হলি আর্টিজানে হামলার পর তিন বছরে বাংলাদেশে জঙ্গিদের অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, হলি আর্টিজান হামলার পরপরই শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে হামলার চেষ্টা হয়। একই কায়দায় আরও কয়েকটি সহিংস হামলার পরিকল্পনা তাদের ছিল। তবে আমরা আমাদের ইনটেলিজেন্স তথ্য, প্রি অ্যাক্টিভ অপারেশন, প্রো অ্যাক্টিভ ইনভেস্টিগেশনের মাধ্যমে তাদের সে পরিকল্পনাগুলো নস্যাৎ করে দিয়েছি।
মনিরুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিবাদের যে সাংগঠনিক কাঠামো, তা আমরা বিভিন্ন অভিযানে ভেঙে দিয়েছি। আমরা জঙ্গিবাদ দমন করতে পারলেও, জঙ্গিবাদ মতাদর্শে বিশ্বাসী কিংবা উগ্রবাদ বা জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ ব্যক্তি এখনও সমাজে বিদ্যমান। তাদের কারণে ঝুঁকি থাকবে। সেই ঝুঁকির মাত্রা নির্ভর করে তাদের সক্ষমতার মাত্রার ওপর। কিন্তু সেটা যাতে না হয় সেজন্য আইনি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি নাগরিক উদ্যোগের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ ঠেকানো সম্ভব হবে।
জয়নিউজ/আরসি