হিন্দু বৈষ্ণব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ বা ইসকনের পক্ষ থেকে শিশুদের মধ্যে খাবার বিতরণ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এই দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক দারুব্রহ্ম জগন্নাথ দাস স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রতি চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলে ইসকন ফুড ফর লাইফের খাবার বিতরণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক প্রচার চালানো হচ্ছে তার পরিপ্রেক্ষিতে সর্বসাধারণের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত রথযাত্রা অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১০টি স্কুলে ইসকনের পক্ষ থেকে হিন্দু ছাত্রছাত্রীদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। রথযাত্রার শুভেচ্ছা হিসেবে প্রতিবছর এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে যে, এই সেবামূলক মহৎ কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মানসে এ কার্যক্রম সম্পর্কে নেতিবাচক সংবাদ ছড়ানো হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে মঠ, মন্দিরে হুমকি প্রদান ও সামাজিক বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু কিছু নেতিবাচক সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে। এখানে একটি স্কুলের খাবার গ্রহণের ভিডিও ধারন করে অন্য একটি স্কুলের সাইবোর্ড ব্যবহার করে ধর্মপরায়ন মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে।
এই কার্যক্রমে শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার বিতরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ওই চিঠিতে বলা হয়, হিন্দু অধ্যুষিত এলাকার শুধুমাত্র একটি স্কুলে হিন্দু ছাত্রছাত্রীরা হরে কৃষ্ণ মন্ত্র বলেছে।
এছাড়া চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রচলিত সাংবিধানিক রীতিনীতি, আইনকানুন এবং সকল ধর্মের প্রতি বাংলাদেশ ইসকন সর্বদা শ্রদ্ধাশীল ও আন্তরিক। আবহমান বাংলার চিরায়ত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য আমরা ধারন করি এবং দলমত নির্বিশেষে সকলের সহাবস্থানের মাধ্যমে সুন্দর বাংলাদেশ গঠনে আমরা বদ্ধ পরিকর। সকলকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হলো।
তথাপি আমাদের আচরণে অনভিপ্রেতভাবে যদি কেউ দুঃখ পেয়ে থাকেন বা কারো মনে আঘাত লেগে থাকে সেজন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ভবিষ্যতে আরও সতর্কতার সাথে কার্যক্রম পরিচালনা করবো। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা আন্তরিকভাবে প্রত্যাশা করছি।
জয়নিউজ/পিডি