চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় সাকিব (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতালের ২৮নং ওয়ার্ডে (নিউরোসার্জারি) ভর্তি অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সাকিবের গ্রামের বাড়ি বোয়ালখালীর খরণদ্বীপ ইউনিয়নের মুন্সিপাড়ায়। সে স্থানীয় রঙমিস্ত্রী পারভেজের ছেলে।
জানা যায়, সাকিব প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। সে স্কুল থেকে ফেরার সময় সিএনজি থেকে পড়ে গিয়ে মাথা ও ঘাড়ে আঘাত পায়। এরপর বেলা সাড়ে ১২টায় তাকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুসনদে সিভিয়ার হেড ইনজুরির কারণে তার মৃত্যু হয় বলে উল্লেখ আছে।
শিশুটির চাচা পারভেজ চৌধুরী জয়নিউজকে বলেন, আমার ভাতিজাকে মেরে ফেলা হয়েছে। চারঘণ্টা ধরে তার কোনো চিকিৎসা হয়নি। আমরা বারবার ডাকার পরেও ডাক্তার-নার্স কেউ আসে নি। ওষুধ কিনতে বলে সবাই চলে গেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, যদি মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে থাকে তাহলে চারঘণ্টা কেন হাসপাতালের বেডে তাকে শুধু স্যালাইন দিয়ে রেখে দেবে? আমরা এ হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।
সাকিবের পরিবারের অভিযোগের বিষয়ে জানতে গেলে হাসপাতালে কর্তব্যরত কোনো চিকিৎসককে পাওয়া যায়নি।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভূঁইয়া জয়নিউজকে বলেন, ভুল চিকিৎসা না, অভিযোগ অবহেলার। এ বিষয়ে আমি হাসপাতালের পরিচালককে বলেছি। উনি বলেছেন, তদন্ত করে দেখবেন। কেউ দোষি হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।