ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বের হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া ব্রেক্সিট নিয়ে কোনো চুক্তি করতে ব্যর্থ হওয়ায় পদত্যাগ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। এরপর দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় পরবর্তী নতুন প্রধানমন্ত্রী পেতে যাচ্ছে ব্রিটেন। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) জানা যাবে নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম। বুধবার (২৪ জুলাই) থেকে দায়িত্ব নেবেন তিনি।
মাসব্যাপী প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর সোমবার (২২ জুলাই) লন্ডনের সাবেক মেয়র ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন এবং বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্টের মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের তৃণমূল পর্যায়ের এক লাখ ৬০ হাজার ভোটার পোস্টাল ভোট দেন। এই ভোটের মাধ্যমে কনজারভেটিভ দলের পরবর্তী প্রধান বাছাই হবে। যিনি দলীয় প্রধান নির্বাচিত হবেন তিনিই হবেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী যেই হোন না কেন তাকে চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে হবে। যে ব্রেক্সিটের কারণে দুইজন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন, সেই চুক্তি এত সহজে করতে সক্ষম হবেন না নতুন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে ভোটকে কেন্দ্র করে প্রচারণা চালান দুই প্রার্থী। এতে নানা বিষয় উঠে এসেছে। উঠে এসেছে বরিস জনসনের নতুন প্রেমের কাহিনী। তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে দায়িত্ব গ্রহণের আগেই পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড। তিনি বলেছেন, বরিস জনসন ব্রেক্সিট নিয়ে যে কৌশল অবলম্বন করেছেন তার সঙ্গে কখনোই একমত হতে পারবেন না।
ওদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্টের হাতে আছে ইরানের কর্তৃক আটক ট্যাংকারের নিষ্পত্তির বিষয়টি।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেষ কর্মকাণ্ড হিসেবে সোমবার ব্রিটেনের কোবরা ইমার্জেন্সি কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন টেরিজা মে।
জয়নিউজ/আরসি