বুধবার, ঘড়িতে সময় তখন সকাল ৯টা বেজে ৮ মিনিট। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাসস্থান থেকে কর্মস্থল হাটহাজারী উপজেলার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছিলেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার তাসমীন আখতার কাকলী। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমিনের ফোন আসে তাঁর মুঠোফোনে। ফোনালাপে ইউএনও তাঁকে নিদের্শনা দেন, তাঁর আওতাধীন ক্লাস্টারের কয়েকজন প্রধান শিক্ষক যেন দ্রুত তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।
এরমধ্যে তিনি বাসা থেকে বের হতে না হতেই উত্তর ফতেয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার দেওয়ানজীকে ফোন করে জানান, তাঁকে ফোনে ইউএনও স্যার বলেছেন, একটা প্রজেক্ট থেকে কিছু দামি ল্যাপটপ এসেছে। এসব সবাইকে দেওয়া হবে না। তবে এরমধ্যে দুইটি ল্যাপটপ আমাকে দেওয়ার কথা বলে ৭ হাজার টাকা বিকাশে পাঠিয়ে দিতে বলেছেন।
বিষয়টি রতন কুমারের কাছে সন্দেহ হওয়ায় আমি দ্রুত উপজেলা পরিষদে পৌঁছে ইউএনও রুহুল আমিনের সঙ্গে দেখা করে জানতে পারি, তাঁর (ইউএনও) ফোন নম্বর ক্লোন করে বুধবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক, উপজেলার কর্মকর্তা ও নানাজনের কাছে ফোন করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দুষ্কৃতকারীরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও রুহুল আমিন মুঠোফোনে জানান, আমি জানতে পারি, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে দুটি ল্যাপটপ দেওয়ার কথা বলে আমার মোবাইল নম্বর ক্লোন করে একটি প্রতারক চক্র টাকা দাবি করছে। আমার নামে কোনো প্রকার অর্থ লেনদেন না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি।
তিনি আরও জানান, বিষয়টি জানার পর আমি আমার নম্বর থেকে কেউ কোনো টাকা-পয়সা চাইলে না দেওয়ার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ করে ফেসবুকে সতর্কমূলক পোস্ট দিয়েছি। ওই প্রতারক চক্রটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জয়নিউজ/তালেব/পিডি/আরসি