কোরবানি ঈদের তিনদিনের সরকারি ছুটি শেষ হয়েছে আজ। কিন্তু কোথাও কাটেনি ছুটির আমেজ।
সরকারি অফিস আদালতে কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। সেক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল ব্যাংক পাড়া।
বুধবার (১৪ আগস্ট) নগরের কয়েকটি অফিস ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
যারা অফিসে এসেছেন তাদের কাজের মধ্যেও ছিল বন্ধের আমেজ। অফিসে এসেই পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি আর শুভেচ্ছা বিনিময়ে ব্যস্ত ছিলেন তারা। অনেকেই আবার সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন রান্না করা কয়েক পদের কোরবানির মাংস।
নগরের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সকাল ১১টায়ও ছিল বেশ ফাঁকা। যারা এসেছেন তারা বলছেন, অন্যরাও আসবেন। তবে যারা এখনো আসেননি তারা ম্যানেজ করে ছুটি নিয়েছেন।
শহর ছেড়ে গ্রামে ঈদ করতে যাওয়া বেশিরভাগই এখনো ফেরেনি। তাই দুপুর গড়িয়ে গেলেও নগরে রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা। কিছু সংখ্যক গণপরিবহণ চললেও সেখানে ভাড়া নিয়ে ছিল যাত্রীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা। ঈদের দুইদিন পরও উঠা-নামা দশ টাকা ভাড়া মানতে নারাজ অনেকেই। তবে বাধ্য হয়েই দিতে হচ্ছে ভাড়া।
মুরাদপুর থেকে টেম্পোতে করে কোতোয়ালি আসা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মচারী সজীব দাশ জয়নিউজকে বলেন, ঈদের আগের দিন থেকে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে। তখন তারা বলত শুধু একদিন নেবে। তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে বাড়তি ভাড়া দিয়েছি। কিন্তু ঈদ শেষ হলেও এখনো বাড়তি ভাড়া নেওয়াটা অন্যায়।
টেম্পোচালক সেলিম উল্লাহ জয়নিউজকে বলেন, এখনো এক রাউন্ড দিতে পারি নি। যাত্রী কম। তাই বাড়তি ভাড়া নিচ্ছি। সবাই নিচ্ছে তাই আমিও নিচ্ছি।
এদিকে নগরের বিনোদন কেন্দ্রগুলাতে ভিড় করছে মানুষ। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, শিশু পার্ক, চিড়িয়াখানা আর ফয়’সলেকে সকাল থেকেই ছিল উৎসব প্রিয় নগরবাসীর আনাগোনা বাড়ছে। বিকাল-সন্ধ্যায় সেই ভিড় আরো বাড়বে বলে ধারণা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।