চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর আদালতে নেই ২২ শতাংশ বিচারক। ফলে মামলা পরিচালনায় ধীরগতির সৃষ্টি হচ্ছে। জুলাই মাস পর্যন্ত বিভিন্ন আদালতে ৪১ হাজার ৪২৮টি মামলা পেন্ডিং রয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক টাস্কফোর্সের অনুষ্ঠিত সভায় এ তথ্য জানানো হয়। সভায় আদালতে বিচারক শুন্যতা দূর এবং দপবিচারকার্যে সহযোগিতা করতে আসা সাক্ষীদের যাতায়াত ভাতা দিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অনুরোধ করে টাস্কফোর্স।
-সভায় আরো জানানো হয়, চোরাচালান অভিযানকে আরও কার্যকর করার জন্য বিশেষ অভিযান চালানো হয় জুন ও জুলইি মাস। ওই অভিযানে জুন মাসে ৬০ হাজার ২টি অভিযান করে ১ হাজার ৭৩৬টি মামলা দায়ের করা হয়। এতে ১৪২ কোটি টাকা মূল্যের পণ্য এবং ১ হাজার ৬০৮ জনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ১ হাজার ২৪৬টি মামলা দায়ের করা হয়।
জুলাই মাসে ৬০ হাজার ৮০৬টি অভিযানে ১ হাজার ৯৮৭টি মামলা দায়ের করা হয়। এতে প্রায় ১১৬ কোটি টাকা মূল্যের পণ্য ও ১ হাজার ৮৩১ জনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৩৬৩টি মামলা দায়ের করা হয়।
এছাড়া স্থল ও নৌপথে জুন মাসে ৩১ হাজার ৬১১টি এবং জুলাই মাসে ৩২,১৯৫টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করে জুন মাসে ১ হাজার ৭৩টি মামলা ও জুলাই মাসে ১ হাজার ২৩৩টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব অভিযানের মাধ্যমে জুন মাসে ৭৮৫ জনকে এবং জুলাই মাসে ৯৩৮ জনকে আটক করা হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আব্দুল মান্নান সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহা, ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সকল জেলা প্রশাসক, মামলা পরিচালনাকারী পিপিসহ টাস্কফোর্সের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জয়নিউজ/পিডি