খেলার নাম ‘ডেথ ডাইভিং’। বাংলায় যার অর্থ ‘মরণ ঝাঁপ’!
নরওয়ের রাজধানী অসলোতে হয়ে গেল ‘ওয়ার্ল্ড ডেথ ডাইভিং চ্যাম্পিয়নশিপ’। এই খেলা সাধারণ ডাইভিংয়ের থেকে কিছুটা আলাদা। সাধারণ ডাইভিংয়ের থেকে এতে অনেক বেশি সাহস লাগে।
প্রথাগত ডাইভিংয়ের মতো শারীরিক কৌশল দেখানো নয়, এখানে ঝাঁপ দেওয়ার সময় জল স্পর্শ করার আগ পর্যন্ত নির্দিষ্ট একটি ভঙ্গিতে থাকতে হয়। তারপর প্রায় চিৎ হয়ে জল পড়েন প্রতিযোগীরা।
নরওয়ের পাঁচ বন্ধু, তাঁদের বয়স এখন প্রায় ৬০ বছর। ১৯৭২ সালে তাঁরা মজার ছলে এই প্রতিযোগিতা শুরু করেছিলেন। পরে সেই প্রতিযোগিতা আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে। এখন নানা দেশ থেকে মানুষ এই প্রতিযোগিতায় যোগ দেন।
এই খেলায় প্রায় ৩৩ ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপ দিতে হয়। প্রথাগত ডাইভিংয়ে ক্ষেত্রে যেমন ঝাঁপ দেওয়ার পর থেকে নিচে পুলের জল স্পর্শ করা পর্যন্ত নানা শারীরিক কসরত দেখাতে হয়, এক্ষেত্রে বিষয়টা একদম উল্টো। এই ঝাঁপের ক্ষেত্রে ডাইভিং বোর্ড থেকে লাফিয়ে পড়ার সময় থেকে একই ভঙ্গিতে থাকতে হয়। পুলের জলে পড়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রতিযোগী তাঁর ভঙ্গি পরিবর্তন করলেও প্রায় চিৎ হয়ে জলে পড়েন।
৩৩ ফুট ওপর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় কেউ যদি চিৎ হয়ে জলের উপর পড়েন, তবে তাঁর আঘাত যথেষ্টই বেশি হবে। তাই এই ঝাঁপকে নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডেথ ডাইভিং’।
জয়নিউজ/হিমেল