কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২ জন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন, গর্জনিয়া বাজারের রাইস মিল সড়কের ফিরোজ স্টোরের মালিক ফিরোজ আহমদ (৫৫) ও ওই দোকানের কর্মচারি আনোয়ার হোসেন (১৫)।
সোমবার (২ সেপ্টম্বর) দিবাগত রাত ২টায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে ৫টি দোকান পুড়ে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
নিহত ফিরোজ আহমদ কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ছোট জামছড়ি এলাকার লাল মোহাম্মদের ছেলে এবং কর্মচারী আনোয়ার হোসেন একই ইউনিয়নের শুকমনিয়া গ্রামের নুর কাদেরের ছেলে।
বাজারের ব্যবসায়ি জাহাঙ্গীর আলম ও মিজানুর রহমান জানান, ফিরোজ আহমদের মুদির দোকান থেকেই বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। মূহূর্তেই আগুনের শিখা আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রামু এবং কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা রাত আড়াইটার দিকে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করে। রাত তিনটার আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ততক্ষণে বাজারের পাঁচটি দোকান পুড়ে যায়।
এদিকে ফিরোজ আহমদের দোকানের সামনে রাখা একটি মোটরসাইকেলও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীদের ধারনা, দোকান মালিক ফিরোজ ও দোকানের ওই কর্মচারী আনোয়ার দোকানের ভেতর ছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে তাদের হদিস না পাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দোকানের ভেতর ঢুকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
অগ্নিকাণ্ডে ফিরোজ আহমদের মুদির দোকানের পাশাপাশি দিল মোহাম্মদের ওয়ার্কশপ, আবদুল করিম ও মনির আহমদের চালের দোকান এবং অধীর কর্মকারের কামারের দোকান রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অধীর কর্মকারের দোকান ছাড়া বাকি চারটি দোকানই বাজারের বৃহৎ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। এসব দোকানে মালামালও ছিল প্রচুর।
এদিকে খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে আসেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা, রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল খায়ের, ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ইসমাইল মো. নোমান।
দিবাগত রাত ৪টায় নিহত দু’জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এসময় ইউএনও প্রণয় চাকমা নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে অর্থসহায়তা দেন।
জয়নিউজ/খালেদ শহীদ