‘আমাজন-সুন্দরবন এবং আমাদের দায়বদ্ধতা’ শিরোনামে বন ধ্বংসের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিকী শোক র্যালি করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা। সেইসঙ্গে চবি ক্যাম্পাসেও গাছ কাটার প্রতিবাদ জানান তারা।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ‘পরিবেশবীক্ষণ’ এর ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধনটি শুরু হয়। এতে সঞ্চালনা করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র প্রত্যয় নাফাক। মানববন্ধন থেকে আমাজন, সুন্দরবন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বন ধ্বংসের নিন্দা জানান বক্তারা।
মানবন্ধনে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র গৌরচাঁদ ঠাকুর বলেন, মাটি, পানি ও বায়ু মানুষের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। কিন্তু সভ্যতার বিকাশ ও সামাজিক বিবর্তনের সাথে সাথে মাটি ও পানি আমরা বিনামূল্যে পাই না৷ বন ধ্বংসের এমন কর্মকাণ্ড চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে হয়তো বায়ুও আমাদের কিনে নিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাজন একটা রেইন ফরেস্ট৷ পৃথিবীর মোট কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের পাঁচ শতাংশ গ্রহণ করে বনটি৷ এটি ধ্বংস হলে পৃথিবী হুমকির মুখে পড়বে৷ আবার রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দের নামে সুন্দরবন ধ্বংসের পায়তারা চলছে৷ একইসঙ্গে সৌন্দর্য বর্ধনের কথা বলে রাতের আঁধারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃক্ষ উজার করছে প্রশাসনসহ নানা মহল। ক্যাম্পাসে বৃক্ষ উজার বন্ধ না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারিও দেন তিনি
লোকপ্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী মাহবুবা জাহান রুমি বলেন, বন ধ্বংসের নানামূখী পায়তারার কারণে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হচ্ছে৷ এটি বন্ধ না হলে আমাদেরকেই হুমকির সম্মুখীন হতে হবে।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পালি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ইউ কে চিং মারমা, বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবির হাসান তিতাস ও ব্যাংকিং ও ইন্সুরেন্স বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র হিমু।
মানববন্ধন শেষে একটি প্রতীকী শোক র্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে৷
জয়নিউজ/নবাব/পিডি