ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে ফের হারতে হলো প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে। এবার তাঁর আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব আটকে দিয়েছেন ব্রিটিশ এমপিরা।
জনসন চাইছেন, ৩১ অক্টোবর নির্ধারিত তারিখেই কোনো চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাক ব্রিটেন। এটাকে বলা হচ্ছে ‘নো ডিল ব্রেক্সিট’।
এর বিরোধিতায় ৩ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব তোলে বিরোধী দল। এতে ব্রেক্সিট আরও পিছিয়ে দিয়ে যুক্তরাজ্যের স্বার্থ রক্ষা করে একটি বিচ্ছেদ চুক্তি চূড়ান্ত করার সময় পাওয়া যায়।
ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ২১ জন এমপি তাতে সমর্থন দিলে হাউজ অব কমন্সের ভোটাভুটিতে প্রথম দফা হারতে হয় জনসনকে।
বিরোধী এমপিদের ওই বিল ব্রেক্সিট আলোচনার নিয়ন্ত্রণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাতে তুলে দেবে- এমন যুক্তি দেখিয়ে আগাম নির্বাচনের হুমকি দিয়ে আসছিলেন প্রধানমন্ত্রী জনসন।
কিন্তু বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) হাউজ অব কমন্সে তিনি ১৫ অক্টোবর সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তাব তুললে সেটাও নাকচ হয়ে যায়।
২০১১ সালের এক আইনে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের মেয়াদ পাঁচ বছর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। ওই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নির্বাচন দিতে গেলে ৬৫০ সদস্যের পার্লামেন্টের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন প্রয়োজন জনসনের।
প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির বেশিরভাগ এমপির পাশাপাশি স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির এমপিরাও জনসনের প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকেন।
এ অবস্থায় আগাম নির্বাচনের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ২৯৮টি। আর বিপক্ষে ৫৬টি। দুই তৃতীয়াংশের সমর্থন পাওয়ার জন্য আরও ১৩৬টি ভোট প্রয়োজন ছিল জনসনের।
এই হারের পর লেবার পার্টির নেতার সমালোচনায় জনসন বলেন, যুক্তরাজ্যের গণতন্ত্রের ইতিহাসে করবিনই হলেন প্রথম বিরোধী দলীয় নেতা যিনি একটি নির্বাচনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন।
জয়নিউজ