বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস করতে উভয় দেশের প্রাইভেট সেক্টরের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে বিকল্প নেই। বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চেম্বার কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা একথা বলেন। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পি. সোয়েমার্নো ও দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি মাহবুবুল আলম এই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সামগ্রিক সম্পর্ক জোরদারকরণের উপর গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন। আমাদের দেশের রপ্তানি বাজার ক্রমান্বয়ে সমৃদ্ধ হচ্ছে এবং আমদানি বৃদ্ধিতে রাষ্ট্রদূতের উদ্যোগ কামনা করছি। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ১১০৭.১ মিলিয়ন ডলার আমদানির বিপরীতে রপ্তানি ৪৬.৩৯ মিলিয়ন ডলার। এ বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস করতে উভয় দেশের প্রাইভেট সেক্টরের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে জোরদার করা প্রয়োজন।
দেশে নির্মিতব্য বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করে তিনি বলেন, এ সকল অর্থনৈতিক অঞ্চলে আইটি, অবকাঠামো ও বে-টার্মিনাল নির্মাণে ইন্দোনেশিয়া বিনিয়োগ আশা করছি। সরাসরি ফ্লাইট কানেক্টিভিটি স্থাপন এবং বাংলাদেশী পণ্য আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা থাকবে বলেও আশা করছি।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পি. সোয়েমার্নো বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামগ্রিক বিবেচনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাষ্ট্র। তাই দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি অত্যন্ত সময়োপযোগী, যৌক্তিক ও কাঙ্খিত। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতির সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর দুই দেশের সম্পর্কন্নোয়নে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে।
তিনি আরও বলেন, ইন্দোনেশিয়ার বিশাল বাজারে বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত দ্রব্য, ঔষধ, সিরামিকস্ এবং নির্মাণ সামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্যের বিশেষ সম্ভাবনা রয়েছে। এ সকল পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধিতে উভয়দেশ অগ্রাধিকারভিত্তিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করতে যাচ্ছে। আগামী ২৪ থেকে ২৮ অক্টোবর ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ৩৩তম ট্রেড এক্সপোতে বাংলাদেশী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
সভায় বক্তব্য রাখেন চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন) ও অঞ্জন শেখর দাশ, সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ মহসিন এবং দূতাবাসের ইকনোমিক কাউন্সেলর ইংগ্রিদ রোজালিনা।
জয়নিউজ/এমএফ/জেডএইচ