পটিয়ার কোলাঁগাও ইউনিয়নের চাপড়া শীলপাড়া এলাকায় পোশাক কারখানার শ্রমিক কামরুল হাসান পলাশ (২৬) খুনের ঘটনায় মামলা করেছেন নিহতের পিতা জহিরুল হক।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন পটিয়া থানায়।
এর আগে নিহত পলাশের কথিত প্রেমিকা কোলাঁগাওয়ের চাপড়া শীলপাড়া গ্রামের কানাই দে’র মেয়ে শিখা দে (২০) কে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে আটক করে পটিয়া থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে শিখা দে জানায়, নিহত পলাশের সঙ্গে তার এক বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের সম্পর্কে ক্ষিপ্ত হয়ে শিখা দের স্বজনরা গত শুক্রবার রাতে শিখার মোবাইল ফোন হতে ফোন দিয়ে কৌশলে ডেকে আনেন পলাশকে। শিখার কথামতো প্রেমিকার বাড়িতে আসলে রাত দশটার দিকে পলাশকে ঘরে আটকে রেখে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। রাত সাড়ে বারোটার দিকে পলাশকে শিখা দের স্বজনরা প্রধান সড়কে এনে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ রাস্তায় ফেলে রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়।
সকালে স্থানীয় লোকজন পটিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন জয়নিউজকে বলেন, পলাশ খুনের ঘটনায় তার বাবা বাদি হয়ে মামলা করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় এনে গ্রেপ্তার করা হবে।
নিহত পলাশ নোয়াখালী সদর উপজেলার আবদুল্লাপুর মিয়া বাড়ির নলপুর গ্রামের জহিরুল হকের ছেলে।