লক্ষ্মীপুরে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাসহ ও ছাত্রলীগ নেতাসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে জেলা স্টেডিয়াম মাঠে বিজয়ী ও বিজিত দলের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খেলার শেষের দিকে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ও দালালবাজার ইউনিয়নের খেলোয়াড় ও দর্শকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আহতরা হলেন খেলোয়াড় সাইফুল, নিশাদ, বিপ্লব, আকবর, নাইম, জুয়েল, সজিব, সাইফুল, জিহাদ, জকির হোসেন, ইউসুফ, শাকিল, ইসমাইল, সোহাগসহ ২৭ জন। আহতরা সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ, দালালবাজার ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। তারা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। স্থানীয় এমপি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় দালাল বাজার টিমের কোচ সুজন হোসেনসহ দুইজনকে আটক করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল তাদেরকে আটক করেন।
এদিকে রাতে লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সাংসদ একেএম শাহজাহান কামাল আহতদেরকে দেখতে সদর হাসপাতালে যান। এসময় ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আশ্বাস দেন তিনি।
প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানায়, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আনিসুজ্জামান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম নিশান ও সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি কিনান জোবায়ের শুভ শারিরীকভাবে নাজেহাল হন। রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক অনূর্ধ্ব-১৭ এর সেমিফাইনাল ম্যাচে শনিবার বিকালে সদর উপজেলার দালালবাজার ও ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন অংশগ্রহণ করে।
খেলার শেষের দিকে রেফারি দালালবাজার ইউনিয়নের এক খেলোয়াড়কে লালকার্ড দেন। এনিয়ে বিতর্ক হলে রেফারি ম্যাচ পরিচালকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে যান। এসময় ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন দুই গোলে এগিয়ে থাকায় দালালবাজারের খেলোয়াড়রা তাদের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে দুই ইউনিয়নের দর্শকরা স্টেডিয়াম গ্যালারি থেকে লাঠিসোটা ও লোহার রড নিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল জয়নিউজকে বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় খেলার মধ্যে দুইপক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। উভয়পক্ষকে শান্ত করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ফাইনাল খেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।