ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ৩ কর্মী আহত হয়েছেন।
পরে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আবদুর রব হলের পাচঁটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার বেলা দেড়টায় চবির অগ্রণী ব্যাংক শাখায় টাকা জমা দিতে যায় বাংলার মুখ (বিএম) গ্রুপের এক কর্মী। পরে লাইন ভঙ্গ করে ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) গ্রুপের এক কর্মী টাকা জমা দিতে গেলে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর বিএমের আরো কয়েকজন কর্মী একসঙ্গে জড়ো হলে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এসময় শহীদ আবদুর রব হলের পাঁচটি কক্ষ ভাঙচুর করে ভিএক্স। রুমগুলোতে বাংলার মুখের কর্মীরা থাকে বলে জানায় তারা।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ
এ ঘটনায় আহত তিনজন হলেন- ইংরেজি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লাবিব শাহরিয়ার, ইসলাম শিক্ষা বিভাগ ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শিপন, কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আজহার হোসেন। আহত লাবিব ও আজহার বিএম গ্রুপ ও শিপন ভিএক্স’র কর্মী বলে জানা গেছে।
আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বিবাদমান দুইপক্ষ নগরপিতা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
চবি চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্মরত ডাক্তার মোস্তফা কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আহত দু’জনের মাথায় কাঁচের চিহ্ন আর একজনের হাতে ইটের আঘাত লাগে। পরে তাদের মাথায় ও হাতে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে ছেড়ে দিয়েছি।
এ ঘটনায় বিএম গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক আমির সোহেল এবং ভিএক্স গ্রুপের নেতা ও ছাত্রলীগ নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় একই সুরে বলেন, জুনিয়রদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে ঝামেলা হয়েছে। পরবর্তীতে উভয় গ্রুপের সিনিয়ররা বসে বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ যায়। পরে উভয় পক্ষের সঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।