জাকারিয়া দস্তগীর। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। তবে ভারপ্রাপ্ত হলেও তিনি প্রেস রিলিজ কিংবা বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটির কাছে পাঠানো সাংগঠনিক চিঠিতে ‘ভারপ্রাপ্ত’ কথাটি উল্লেখ করেন না। তার স্বাক্ষর এমনকি সিলেও ভারপ্রাপ্ত কথাটির উল্লেখ নেই। আর এটি নিয়ে সমালোচনা করেছেন অনেক বর্তমান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের উদ্যোগে ওয়ার্ডগুলোতে কর্মীসভা উদযাপনের লক্ষ্যে গত ৬ অক্টোবর ১৮টি ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের তারিখ ও সময়সূচি দিয়ে একটি সাংগঠনিক চিঠি দেয় মহানগর ছাত্রলীগ। চিঠির নিচে স্বভাবতই সংগঠনের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের স্বাক্ষর ছিল। তবে ভারপ্রাপ্ত হলেও নিজের পদের পরে ভারপ্রাপ্ত কথাটি যোগ করেননি তিনি। এমনকি স্বাক্ষরের নিচে দেয়া সিলেও ভারপ্রাপ্ত কথাটির উল্লেখ নেই। এটি নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপু বলেন, ভারপ্রাপ্ত হলে অবশ্যই ভারপ্রাপ্ত কথাটি লিখতে হবে। যদি না লিখে থাকে তাহলে এটি অবশ্যই সংগঠনের বিধি লঙ্ঘন।
নগর ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সদস্য রিজোয়ানুল কবির সজীব বলেন, পুরো কমিটিইতো মেয়াদোত্তীর্ণ। সেখানে ভারপ্রাপ্ত লিখলেও কি, না লিখলেও কি। এ কমিটির ৮৫ শতাংশ নেতা বিবাহিত ও নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। তাই আমরা চাই এ কমিটি শীঘ্রই বিলুপ্ত করা হোক ও নতুন কমিটি ঘোষণা করা হোক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাকারিয়া দস্তগীর জয়নিউজকে বলেন, আমি সবসময়ই ভারপ্রাপ্ত কথাটি লিখি। অনেক সময় লিখতে ভুলে যাই। তখন কলম দিয়ে লিখে দিই।
এতে সাংগঠনিক বিধি লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক একজনই। সাধারণ সম্পাদককে সবাই চিনে। আর মানুষ মাত্রই ভুল। হয়ত কোথাও ভুলে ভারপ্রাপ্ত কথাটি পড়েনি।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য জয়নিউজকে বলেন, এ বিষয়টি আসলে আমি জানি না। আপনি বলেছেন, আমি খবর নেব। যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।