বান্দরবানের আলীকদম-থানচি সড়কের ১৫ কিলো. এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন ১৩ জন।
রোববার (১৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, থানচি থেকে আলীকদম হয়ে পেকুয়া টৈটং অভিমূখে ছেড়ে আসা চাঁদের গাড়িটি উঁচু পাহাড়ি পথ বেয়ে উঠতে গিয়ে হঠাৎ পিছনের দিকে গিয়ে এদুর্ঘটনা ঘটে। এসময় গাড়িচালক গাড়ি থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলে পেকুয়া উপজেলার টোইটং এলাকায় মো. দিদার হোসেন (২৫)নামে এক যুবক নিহত হন।
পরে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে আহতদের আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে আনার পর আব্দুর রশিদের ছেলে আবু তালেব (২২) মারা যান।
আহতরা হলেন, একই এলাকার মোস্তাক আহামদের ছেলে নুরুল ইসলাম (৩০), আবু তাহেরের ছেলে জিয়াবুল কবির (২৩), আব্দুর রশিদের ছেলে মো. তালেব (২২), দুলাল মিয়ার ছেলে মো. জয়নাল আবেদীন (২৮), মৃত শমসের আলমের ছেলে মো. আলী (২৫), মৃত নজির আহামদের ছেলে আবু তাহের (৫২), মো. শাহ আলমের ছেলে মো. জোবায়ের (২৮) নুরুল হকের ছেলে মো. শহিদুল্লাহ (৩২), নুরুল ইসলামের ছেলে রেজাউল করিম (৪৫), বদর আলমের ছেলে জাফর আহামদ (৪৫), জফুর আহমদের ছেলে আছত আলী (৩০), নুরুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রশিদ (২১), আলী হোসেনের ছেলে মো. কাইছার (২২) এবং বাঁশখালীর আব্দুর রশিদের ছেলে মো. আবু তাহের (৪৫)। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে চারজন।
আলীকদম হাসপাতালের ডা. কামরুল হাসান জয়নিউজকে বলেন, দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ১৫ জন। এদের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলে মারা যান, একজন হাসপাতালে আনার পর মারা যান। বাকি তের জনকে আমরা সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করেছি যাতে অন্তত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো যায়।
আলীকদম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী রকিব উদ্দিন জয়নিউজকে বলেন, গাড়িটির কোনো কাগজপত্র ছিলনা। চালককেও আমরা ধরতে পারিনি। দুর্ঘটনার মূহুর্তের মধ্যে গাড়িরচালক এবং তার সহকারী পালিয়ে যায়। মূলতঃ চালকের অদক্ষতার ও অতি গতিতে গাড়ি চালানোর কারণেই এধরণের ঘটনা ঘটেছে।