স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো.আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ, টেন্ডারবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান এখানেও চলবে। পাহাড়ে সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী বিপথগামীরা যদি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে তাদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খাগড়াছড়ির রামগড়ে নবনির্মিত রামগড় মডেল থানা ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১২টায় এ সুধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, এখানের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সকল ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে দমন করা হবে। প্রয়োজনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে। যখনই দরকার হবে তখনই আরও নিরাপত্তা ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।
সাবেক মহকুমা শহর রামগড়কে জেলা ঘোষণার দাবির প্রতি একাত্মতা পোষণ করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এটি এলাকাবাসীর যৌক্তিক দাবি। সংশ্লিষ্টদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরবেন বলেন তিনি।জঙ্গি, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনাদের সহযোগিতায় জঙ্গি-সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে এনেছি। মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আহমার উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য কংজরী চৌধুরী, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাফিন আহমেদ, চট্টগ্রামের ডিআইজি খোন্দকার গোলাম ফারুক, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, পুলিশ সুপার মো. আহমার উদ্দিন, উপজাতী নেতা মংপ্রু চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আলম আলমগীর, পৌর মেয়র কাজী শাহজাহান রিপন ও উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্বপ্রদীপ কারবারী।